মহান আল্লাহ তায়ার অসংখ্য নিয়ামতের একটি হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এ মাসের ফজিলত অনেক। এ মাসে কুরআন নাজিল সম্পন্ন হয়েছে। এ মাসে প্রতি নেক কাজে ৭০গুণ বেশি সওয়াব দেয়া হয়। এ মাসকে ইবাদতের মাস বলা যায়। এ মাসের প্রস্তুতি অনেকে অনেকভাবে নেয়। কিছু মানুষ খাদ্য, পানীয়, মিষ্টি-মন্ডা, রাত জাগা ও স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর মৌসুম বানিয়ে ফেলেছে। আর কিছু মানুষ মাসব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকার আশায় সব কাজকর্ম গুছানোর মাধ্যমে প্রস্তুতি শুরু করে। নিজেকে পরিশুদ্ধ মানুষ করতে চাইলে দ্বিতীয়টিই করা উচিত। চলুন জেনে রাখি কিভাবে আপনি রমজানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন।
নিয়ত ও মানুষিক প্রস্তুতি : প্রত্যেক কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের ওপর। নিয়তের ভিন্নতায় কাজের ফলাফল ভিন্ন হবে। ভালো কাজও বিশুদ্ধ নিয়তে না হলে তার মান নষ্ট হয়ে যায়। নিয়তের সাথে মানসিক প্রস্তুতিও লাগবে। দীর্ঘ ত্রিশদিন যাবৎ রোজা রাখা ও সব সময় ইবদতের প্রতি মন রাখার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও অপরিহার্য। এর জন্য প্রয়োজন, নিজের কর্মব্যস্ততা ও পেরেশানি থেকে মুক্ত থাকা।
তাওবা করা : এটি সবসময়ের জন্যই ওয়াজিব। তবে বিশেষ করে যেহেতু একটি মোবারক মাস আসন্ন। তাই এ মাসের আগেই নিজের সব গুনাহর জন্য মহান মালিকের কাছে তাওবা-এস্তেগফার করা এবং দু’আ করা যেন রমজানের যথাযর্থতা রক্ষা করে নিষ্পাপ হয়ে প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
শারীরিক প্রস্তুতি : দীর্ঘ সময় রোজা রাখা ও ইবাদতের জন্য সুস্থ্যতাও বড় বিষয়। শারীরিক বড় কোনো রোগের আশঙ্কা থাকলে ভাল ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া এবং বেশি বেশি দু’আ করা, যেন আল্লাহ সুস্থ রাখেন।
প্রয়োজনীয় মাসআলা জানা : ‘দ্বীনের জরুরি মাসাইল জানা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ’। তাছাড়া কোনো কর্ম সম্পাদনের জন্য ওই কাজ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকলে সফলতার মুখ দেখা অসম্ভব। আর তাই রমজানের পূর্ণতার জন্য রমজান সংক্রান্ত জরুরি মাসাইল জানা থাকা আবশ্যক। আর এর জন্য অবশ্যই ভালো কোনো আলেমের দ্বারস্থ হয়ে তার কাছ থেকে বা তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলতে পারেন।
শাবান মাস থেকেই রোজা রেখে অভ্যাস তৈরি করা এবং বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত-এর মাধ্যমে রমজানে প্রস্তুতি নেয়া যায়। রমজানের যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করে রমজান পর্যন্ত যেন পৌঁছতে পারি এবং সঠিকভাবে রমজানকে অতিবাহিত করতে পারি, আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দান করুন।
