tag:blogger.com,1999:blog-91468915722815152492024-02-19T14:25:46.784+06:00IslamiGuardian.com || The Worldwide Islamic MovementA great information site about Islam and Muslims in text,audio and video. Also, non-political movement for the propagation of the Quran and Sunnah.Unknownnoreply@blogger.comBlogger69125tag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-2491012830996413732023-09-06T13:43:00.003+06:002023-09-06T13:53:13.630+06:00 বছরে একবার নামাজ হয় যে মসজিদে<p style="text-align: justify;"></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhl3nSrs1l65EtWe4ir7rvOCwkyrqvpYU9hH8sVEQs1TVDMBRs-V_BQq9ocQ_sojWrHUE3xmOIrn2AnPjH3uMy2xPQMMTbBnm58ePzizQdEYt2PueuyTJYnx0E9Ykgj6gU6JCw8svDGTMLEMImG0Ci-so_7P1ouqTeUCp7yxbIemD18wEUpUDVJpxLvW8Q/s1200/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6,%20%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE.webp" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="কুশলাত মসজিদ, বসনিয়া" border="0" data-original-height="675" data-original-width="1200" height="360" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhl3nSrs1l65EtWe4ir7rvOCwkyrqvpYU9hH8sVEQs1TVDMBRs-V_BQq9ocQ_sojWrHUE3xmOIrn2AnPjH3uMy2xPQMMTbBnm58ePzizQdEYt2PueuyTJYnx0E9Ykgj6gU6JCw8svDGTMLEMImG0Ci-so_7P1ouqTeUCp7yxbIemD18wEUpUDVJpxLvW8Q/w640-h360/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6,%20%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE.webp" title="কুশলাত মসজিদ, বসনিয়া" width="640" /></a></div><br />বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার একটি শহর জভোর্নিক। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সারবাসকা প্রদেশে অবস্থিত এ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দ্রিনা নদী। নদীর তীরবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় কুশলাত মসজিদের অবস্থান। এ মসজিদের অবাক করা বিষয় হলো, বছরে একবার এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। খবর আনাদোলু এজেন্সির।<div><span style="text-align: justify;"><br /></span></div><div><span style="text-align: justify;">প্রতিদিনের অন্যান্য নামাজ এখানে অনুষ্ঠিত হয় না। কেননা হেঁটে প্রতিদিন বিপজ্জনক সরু পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বছরে একবারই এ মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত ২৬ আগস্ট এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।</span></div><div><span style="text-align: justify;"><br /></span></div><div><span style="text-align: justify;">আশপাশের মুসলিমরা আগ্রহভরে এ নামাজে অংশ নেন। এতে ইমাম ছিলেন শায়খ আহমেদ হোসকানোভিচ।</span></div><div><span style="text-align: justify;"><br /></span></div><div><span style="text-align: justify;">কুশলাত মসজিদকে ‘বিজয়ের প্রতীক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম এই প্রাচীন মসজিদের আকৃতি অনেকটা বাজপাখির বাসার মতো।</span></div><div><span style="text-align: justify;"><br /></span></div><div><span style="text-align: justify;">মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক এলাকায় অবস্থিত মসজিদটির উচ্চতা ও দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন সাজসজ্জা একে অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে।</span></div><div><span style="text-align: justify;"><br /></span></div><div><span style="text-align: justify;">ইসলামিক ইউনিয়ন অব ইমামের প্রধান আহমেত হোসকানোভিচ জুমার খুতবায় বলেছেন, ‘কুশলাত মসজিদ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। উসমানীয় শাসনামলের প্রথম দিকে তা নির্মিত হয়। ১৪৬০-১৪৮০ সালে অঞ্চলটি বিজয়ের সময় উসমানীয় সেনারা মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। কনজেভেজ পোলজে ও জোভরনিক এলাকার মধ্যে একটি পাহাড়ের চূড়ায় তা তৈরি করা হয়।</span></div><div><span style="text-align: justify;"><br /></span></div><div><span style="text-align: justify;">১৯৯২-১৯৯৫ সালে বসনিয়া হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের সময় সার্ব সৈন্যরা মসজিদটি পুড়িয়ে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মুসলিম দেশের সহায়তায় মসজিদটি পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের পর ২০১৩ সালে তা মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানে প্রতিবছর আগস্টের শেষ সপ্তাহে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।</span></div>Nabilhttp://www.blogger.com/profile/00441974429720331986noreply@blogger.com74G6+P35, M-19, Liješanj, Bosnia and Herzegovina44.2767598 19.11022915.966525963821155 -16.046021 72.586993636178846 54.266479000000004tag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-12965173625619554422019-09-17T13:23:00.000+06:002019-09-17T13:23:31.926+06:00কী করলে এক হাজার নেকি লাভ করা যাবে?<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi1pLIYmt07bAwIGXQqbewLx85EtcmG5HmcKu7hCJlFIE_G8nB-uzb7iePhtCR0a0A9UVA6f1AnF0G4nvdY3vxcPdqvRVusCI031-7V7TDJNq1mJprwB2HFeLj1nCAExoVrfmDeC5Jnzcm9/s1600/na27-prayers.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="675" data-original-width="1200" height="360" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi1pLIYmt07bAwIGXQqbewLx85EtcmG5HmcKu7hCJlFIE_G8nB-uzb7iePhtCR0a0A9UVA6f1AnF0G4nvdY3vxcPdqvRVusCI031-7V7TDJNq1mJprwB2HFeLj1nCAExoVrfmDeC5Jnzcm9/s640/na27-prayers.jpg" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
দৈনিক এক হাজার নেকি লাভ ও এক হাজার গোনাহ মাফ হওয়া নিশ্চয় মুমিনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কোনো মুমিন এমন সৌভাগ্য হাতছাড়া করতে চাইবে না। প্রিয়নবী (সা.) উম্মতকে এমনই একটি আমল শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের জন্য কি দৈনিক এক হাজার নেকি লাভ করা কঠিন কিছু? তখন এক সাহাবি বলেন, আল্লাহর রাসুল! কী করলে এক হাজার নেকি লাভ করা যাবে? তখন নবীজী বলেন, ‘এক শ বার সুবহানাল্লাহ বললে এক হাজার নেকি লেখা হবে অথবা (কোনো কোনো বর্ণনায়) এক হাজার গোনাহ মোচন হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৮; ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৮২৫)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ ছাড়া হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশবার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ পড়বে, এর বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, ১০টি নেকি লেখা হবে, ১০টি গোনাহ মাফ হবে, ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে রক্ষার কারণ হবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, নামাজের বৈঠক থেকে ওঠার আগে, কোনো কথা বলার আগেই এই দোয়া পড়বে। কোনো বর্ণনায় শুধু নামাজের পর পড়ার কথা এসেছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪, ৩৪৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৯৯০)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘...তার আমলনামায় এক নেকি লেখা হবে, এক শ গোনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৭১৯)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অন্য হাদিসে এসেছে, ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম স্বাধীন করার সওয়াব পাওয়া যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৭; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫৬৮)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মোদ্দাকথা, বর্ণনার বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা থাকলেও ফজর এবং মাগরিবের পর এই দোয়া-আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গোনাহ মাফ করেন। তাকে সওয়াব দিয়ে পুরস্কৃত করেন। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-990478356118833672019-08-21T14:23:00.003+06:002019-08-21T14:23:34.022+06:00বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির দোয়া<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9FOBydK8EhbY3dIyzjGQvON_81vHyvyTO-N8BYzArfBdmruiPkpLnnO1qpVD85qRQq0XM1rex68Rv40dagMPItUeABOkZ2NOKejoQPb7KSxnWBSDfqRrrcKRtQz15FO-T8jqEOqmSq6oA/s1600/Screenshot_6.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="624" data-original-width="1060" height="376" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9FOBydK8EhbY3dIyzjGQvON_81vHyvyTO-N8BYzArfBdmruiPkpLnnO1qpVD85qRQq0XM1rex68Rv40dagMPItUeABOkZ2NOKejoQPb7KSxnWBSDfqRrrcKRtQz15FO-T8jqEOqmSq6oA/s640/Screenshot_6.jpg" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বিপদ কখনও বলে-কয়ে আসে না। কখন কার ওপর কোন সমস্যা ও বিপদ নেমে আসে তা কেউ জানে না। স্বাভাবিকভাবে বিপদ বা সঙ্কটে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে, মানুষ দিশেহারা হয়ে করণীয় ভুলে যায়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তবে বিপদে পড়লে সবার প্রথমে আল্লাহ তায়ালার কাছে বিপদ থেকে সাহায্য চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী। তিনি চাইলে মুহূর্তেই যেকোনো বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। সব ধরেনের পেরেশানি দূর করে দিতে পারেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ সা.-এর হাদিসে কিছু দোয়া ও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আনাস রা. বলেন, যখন হজরত রাসুলুল্লাহ সা.- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন। -তিরমিজি: ২৪৫৪</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছু। অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, মাছের পেটে ইউনুস আ. এ দোয়া পড়ে আল্লাহ তায়ালাকে ডেকেছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। –সুনানে তিরমিজি: ২২৯২</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উচ্চারণ: লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন। -সূরা আম্বিয়া: ৮৭। অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বিপদ-মসিবত থেকে বেঁচে থাকতে এই দোয়াগুলোও পাঠ করা যেতে পারে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উচ্চারণ: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ: আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন- উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল হাকিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমন্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
দোয়া কবুলের বহুঘটনা থেকে কিছু ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে দু’য়া কবুলের গল্পগুলো ।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-4870224437368480042019-08-21T14:21:00.000+06:002019-08-21T14:21:56.906+06:00ঋণ ফেরত দেয়ার ঐতিহাসিক অলৌকিক একটি ঘটনা<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlxfalUWVzmcUeY5Z8YZONv05XuUudLAtG7Djo5WWIoC7acmNkqOA1-NbX3PhzEzCD6SrSWYOV6SUkJ0JIs4oQTa7jgag2xeLIM5fgtiIyTidFJVXKhLFty-Dd6V8-_pcPd5pEVBxbaLZt/s1600/%25E0%25A6%258B%25E0%25A6%25A3+%25E0%25A6%25AB%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="378" data-original-width="664" height="364" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlxfalUWVzmcUeY5Z8YZONv05XuUudLAtG7Djo5WWIoC7acmNkqOA1-NbX3PhzEzCD6SrSWYOV6SUkJ0JIs4oQTa7jgag2xeLIM5fgtiIyTidFJVXKhLFty-Dd6V8-_pcPd5pEVBxbaLZt/s640/%25E0%25A6%258B%25E0%25A6%25A3+%25E0%25A6%25AB%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4.jpg" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
লায়স রহ. আবূ হুরায়রা রা. হতে থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বনি ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনি ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আনো, আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখব। সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তারপর (ঋণদাতা) বলল, তা হলে একজন যামিনদার উপস্থিত করো। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যই বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে তাকে এক হাজার দীনার দিয়ে দিল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছতে পারে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাজার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জান আমি অমুকের নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিন হিসাবে যথেষ্ট।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এতে সে রাজী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট, তাতে সে রাজী হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তাই আমি তোমার নিকট সোপর্দ করলাম, এই বলে সে কাষ্ঠখণ্ডটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখণ্ডটি সমুদ্রে প্রবেশ করল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ওদিকে ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল, হয়তোবা ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি কাষ্ঠখণ্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সে কাষ্ঠখণ্ডটি তার পরিবারের জ্বালানীর জন্য বাড়ি নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে গেল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দীনার নিয়ে এসে হাযির হল এবং বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার মাল যথাসময়ে পৌঁছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি যে নৌযানে এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই এর আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ হতে আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দীনার নিয়ে ফিরে চলে গেল। সহিহ বুখারি, হাদিস-২২৯১।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-59965423695188857112018-10-05T18:44:00.000+06:002019-10-04T18:49:01.737+06:00পিলখানায় ৫৭ জন শহীদ সেনা অফিসারের পরিচিতি<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiKN6PSvlE1ZiHxogVksdfy4SNTyY51lTI7whWMej3cCYzR3kTlioCAMVGOCYZcBsrvU_RUcz0DyU39AHdUKnz59GR9zmastNtaqX_OQ1pJC-SOG6aSS-bQ6djNmqGSYSGdVE4roKhEbyFM/s1600/%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F+%25E0%25A7%25AB%25E0%25A7%25AD+%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25A6+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%2585%25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="338" data-original-width="630" height="342" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiKN6PSvlE1ZiHxogVksdfy4SNTyY51lTI7whWMej3cCYzR3kTlioCAMVGOCYZcBsrvU_RUcz0DyU39AHdUKnz59GR9zmastNtaqX_OQ1pJC-SOG6aSS-bQ6djNmqGSYSGdVE4roKhEbyFM/s640/%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F+%25E0%25A7%25AB%25E0%25A7%25AD+%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25A6+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%2585%25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF.jpg" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১। শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, এনডিসি, পিএসসি </b>– ১৯৫৬ সালের ১৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ৯ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি; আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, ৯ আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (রংপুর), ৬৬ আর্টিলারি ব্রিগেডে কমান্ডার, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক সচিব ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদেও নিয়োজিত ছিলেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন হোসেন শাকিল পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হয়েছেন। তিনি কন্যা আকীলা রাইদা আহমেদ ও পুত্র রাকীন আহমেদকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২। শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন</b> – ১৯৫৩ সালের ৩০ জুন রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮১ সালের ২৩ জুন মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। তাঁর জ্যেষ্ঠতার তারিখ ২৩ জুন ১৯৭৮, চাকরি জীবনে তিনি রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ১০, ১৮, ২১ ও ৩১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স; ১ ইস্ট বেঙ্গল, রংপুর ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, সেনা সদর সামরিক সচিবের শাখা, মোমেনশাহী সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন এবং রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে পরিচালক, মেডিক্যাল সার্ভিস (ডিএমএস) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. সাইদা সুলতানা, দুই কন্যা সাদিয়া হোসেন ও সামিয়া হোসেন এবং পুত্র সাকিব আবরার।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩। শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল বারী, এনডিসি, পিএসসি</b> – ১৯৫৯ সালের ১৩ জুন খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৮ ও ৯ ইস্ট বেঙ্গল, ৬ ও ১০ বীর, আর্মি স্কুল অব ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ ও স্টাফ ডিউটিজ পরিদপ্তর এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্সে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ৫৫ পদাতিক ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগেডে কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে অংশগ্রহণ করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে উপ-মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ফারহানা বারী এবং দুই পুত্র সুদীপ্ত বারী ও সৌরভ বারী।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪। শহীদ কর্নেল মো. মজিবুল হক</b> – ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৮ ও ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, এসএমআই, ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও বিডিআরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন কনে। এ ছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে কর্নেল জেনারেল স্টাফ ও ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার (কনস্যুলার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (ঢাকা) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসী, দুই পুত্র মো. মুহিব হক ও মো. নাদীত হক এবং কন্যা তেহ্রীম মুজিবকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫। শহীদ কর্নেল মো. আনিস উজ জামান, এনডিসি</b> – ১৯৫৯ সালের ১৬ আগস্ট রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালে ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৭ ও ৩২ ইস্ট বেঙ্গল, ৪ ও ৯ বীর, দি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, বিডিআর ও ১০৫ পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সচিবালয়ে সেনাবাহিনী প্রধানের একান্ত সচিব ও বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার পদেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশন এ-ও অংশগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী নাজমা জামান, দুই কন্যা ফারিহা মেহরিন জামান ও সামিহা মেহরিন জামান এবং পুত্র মো. আহনাফউজ জামান।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৬। শহীদ কর্নেল মোহাম্মদ মসীউর রহমান, পিএসসি</b> – ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর সিগন্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ৫ ও ৭ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, এসটিসিঅ্যান্ডএস, ১০২ স্বতন্ত্র ব্রিগেড সিগন্যাল কম্পানি, স্ট্যাটিক সিগন্যাল কম্পানি ও সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ও পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে পরিচালক (যোগাযোগ) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং দুই পুত্র জুবায়ের আল মুসা ও মো. আশেকুর রহমান।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৭। শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহী রহমান শফিক, এনডিসি, পিএসসি –</b> ১৯৬২ সালের ১ নভেম্বর রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ১০, ১৮ ও ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল (৮ বীর), এসআইঅ্যান্ডটি, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও এমআইএসটিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বসনিয়া ও সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (দিনাজপুর) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী লবী রহমান ও একমাত্র পুত্র সাকিব রহমানকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৮। শহীদ কর্নেল মোহাম্মদ আখতার হোসেন, পিএসসি, জি</b>– ১৯৬৩ সালের ২৪ জুন নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১ ও ৯ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯ ডিভ লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি, এসআইঅ্যান্ডটি, বিএমএ, ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেড, ১৯ পদাতিক ডিভিশন, ২১ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৬ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এডি ব্যাটারি আর্টিলারি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে পর্যবেক্ষক এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে চিফ অপারেশন অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (চট্টগ্রাম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (রীমা) এবং তিন পুত্র মো. ইমতিয়াজ হোসেন ফারাবী, মো. ফয়সাল হোসেন ফাহমী ও মো. আন্দালীব হোসেন ফারদিন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৯। শহীদ কর্নেল মো. রেজাউল কবীর, এএফডবি্লউসি, পিএসসি</b> – ১৯৬৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩২, ৩৫ ও ৩৬ এসটিক ব্যাটালিয়ন; এসএসডি বগুড়া, এসএসডি রংপুর, আর্মি সার্ভিস কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও সেনা সদর এমএস শাখায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (দিনাজপুর) পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশনে কম্ব্যাট জাতিসংঘ সাপ্লাই প্লাটুন কমান্ডার এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সাইদা সুলতানা। তিনি পুত্র মো. ফায়সাল কবীর এবং দুই কন্যা রাইসা কবীর ও রামিজা কবীরের জনক।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১০। শহীদ কর্নেল নাফিস উদ্দিন আআহমেদ, পিএসসি </b>– ১৯৬১ সালের ৫ জানুয়ারি ভোলা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্মর্ড কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি বেঙ্গল ক্যাভ্যালরি, ৬ ক্যাভ্যালরি, ৭ হর্স, পিজিআর, সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর, ২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিডিআরের সেক্টর উপ-অধিনায়ক পদেও কর্মরত ছিলেন। তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি রাইফেলস ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে কমান্ড্যান্ট পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী মুন্নী চৌধুরী ও একমাত্র পুত্র ইয়াছির আহমেদ উসামাকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১১। শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক, পিএসসি</b> ১৯৬২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১১ ও ১৮ ইস্ট বেঙ্গল, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, এসআইঅ্যান্ডটি, ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও সেনা সদর বাজেট পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি র্যাব-৭-এ অধিনায়ক, ১১ পদাতিক ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৭৭ পদাতিক ব্রিগেডে ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক, লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে স্টাফ অফিসার পদেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (রাজশাহী) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন নুর সুইটি এবং দুই পুত্র কাজী উমান এমদাদ ও কাজী তাওসীফ এমদাদ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১২। শহীদ কর্নেল বিএম জাহিদ হোসেন</b>, পিএসসি ১৯৬১ সালের ১০ আগস্ট বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৯, ১৯, ২৭ ও ৪০ ইস্ট বেঙ্গল; ১ ও ৯ বীর, এসআইঅ্যান্ডটি, ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও সদর দপ্তর লগ এরিয়ায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার এবং ডিজিএফআইয়ে কর্নেল জিএস পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (ময়মনসিংহ) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিসরাত জাহিদ। তাঁদের দুই পুত্র বিএম আবরার শাহরিয়ার ও বিএম রুবাইয়াত শাহরিয়ার।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১৩। শহীদ কর্নেল সামসুল আরেফিন আহাম্মেদ</b>, পিএসসি ১৯৬২ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬, ২০, ৩২ ও ৩৭ ইস্ট বেঙ্গল, ২৮ বীর, ৬৫ পদাতিক ব্রিগেড, এফআইইউ, ১১ ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং সেনা সদর এমআই পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি এরিয়া সদর দপ্তর কুমিল্লার কর্নেল অ্যাডমিন পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশন এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (কুষ্টিয়া) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী হাসিনা মমতাজ এবং দুই কন্যা আসিমা ইসরাত ও রামিসা ফারিহাকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১৪। শহীদ কর্নেল মো. নকিবুর রহমান</b>, পিএসসি ১৯৬৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪, ৩০, ৩২ ও ৪২ ইস্ট বেঙ্গল, ২১ বীর, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, এসআইঅ্যান্ডটি, বিআরইউ যশোর ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন এবং জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (কুমিল্লা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিশাদ রহমান, পুত্র নাবিল ইবনে নাকিব ও কন্যা নুদরাত বিনতে নাকিব।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১৫। শহীদ কর্নেল কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন</b>, পিএসসি ১৯৬০ সালে ১৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিগন্যালস কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩ ও ১০ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন; এসটিসিএস, আর্মি সিগন্যাল ব্রিগেড, ডিজিএফআই ও সেনা সদর পিএস পরিদপ্তর এবং বিডিআরের ৩৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক এবং কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে অধিনায়ক, ফোর্স ব্যানএমপি-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (রাঙ্গামাটি) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী বদরুন্নেছা খানম। তিনি দুই পুত্র কাজী সামির আসাফ ও কাজী সাদির আসাফের জনক।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১৬। শহীদ কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ</b>, পিএসসি ১৯৬৪ সালের ২১ মার্চ কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।চাকরি জীবনে তিনি ২, ৮, ৩৪, ৪৪ ইস্ট বেঙ্গল (৯ বীর), ৬৬ পদাতিক ডিভিশন, বিএমএ, এনসিওস একাডেমি ও সেনা সদর এমও পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি র্যাব-৩-এ অধিনায়ক এবং র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (সিলেট) পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী ফাতেমা সুলতানা এবং দুই কন্যা জাহীন তাসনিয়া ও লামিয়া সাইয়ারা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১৭। শহীদ কর্নেল মো. শওকত ইমাম</b>, পিএসসি, জি+ ১৯৬১ সালে ২০ মে চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ২১, ৩৬ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৩ রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এসিঅ্যান্ডএস ও সেনা সদর আর্টিলারি পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন এবং সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (খাগড়াছড়ি) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নুজহাত আহসান ও একমাত্র কন্যা সুমেরা ফাইজা আজরিনকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১৮। শহীদ কর্নেল মো. এমদাদুল ইসলাম</b>, পিএসসি ১৯৬২ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৮, ৩৯, ৪৩ (৮ বীর) ও ৪৪ (৯ বীর) ইস্ট বেঙ্গল, বিডিআর, বিএমএ এসআইঅ্যান্ডটি, পিজিআর ও ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাজিকিস্তানে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মিশনে পর্যবেক্ষক এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের ফোর্স সদর দপ্তরে ডেপুটি চিফ অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (খুলনা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার (লুনা) এবং পুত্র মো. আকিফ আল ইসলাম ও কন্যা নৌশিন নাওয়ার নূরজাহান।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১৯। শহীদ কর্নেল মো. আফতাবুল ইসলাম</b>, পিএসসি ১৯৬৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩২ ও ৩৩ এসটি ব্যাটালিয়ন, এসএসডি মোমেনশাহী, এসএসডি কুমিল্লা, এএসসিসিঅ্যান্ডএস, আন্তবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ, সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরাকে জাতিসংঘ গার্ড কন্ডিনজেন্ট এবং সুদানে জাতিসংঘ মিশনে (টঘগওঝ) দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (রংপুর) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নাসিমা মোশারাফ বন্যা ও একমাত্র কন্যা নুদরাত নাওয়ারকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২০। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনশাদ ইবন আমিন</b>, জি+ ১৯৫৯ সালের ৩ মার্চ রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২১, ৩৬ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ডিজিএফআই ও আইএসএসবিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও আইভরিকোস্টে জাতিসংঘের মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিট, ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. রোয়েনা মতিন। তিনি পুত্র এম মাশাহেদ বিন এনশাদ এবং কন্যা নুজহাত নাহিয়ান এনশাদের জনক।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২১। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুল আজম</b>, পিএসসি, ইএমই ১৯৬০ সালের ৭ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮০ সালের ১৫ জুন ইএমই কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ ও ১২৭ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কম্পানি, ৭০৩ মিডিয়াম ওয়ার্কশপ; ১১, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি ও ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের কমান্ডার ইএমই (ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী মুনমুন আক্তার। তিনি তিন পুত্র তারিক বিন আজম তানিম, জারিফ বিন আজম জিষান ও সুদীপ্ত শাহীন মাশরাফির পিতা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২২। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী রবি রহমান</b>, এনডিসি ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ অক্টোবর আর্মি ডেন্টাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, যশোর সিএমএইচ, রংপুর সিএমএইচ, মোমেনশাহী সিএমএইচ, সাভার সিএমএইচ, বগুড়া সিএমএইচ, ঢাকা সিএমএইচ, কুমিল্লা সিএমএইচ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের ব্যানমেড-৩-এ দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর হাসপাতালে পর্যায়িত দন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া রশিদ। তাঁদের দুই পুত্র কাজী অদ্রি আরাফাত রহমান ও কাজী দিপ্র সাদাকাত।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২৩ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ নিয়ামতউলাহ</b>, পিএসসি জি ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৭, ৮, ২০ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি; ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে সিনিয়র রেকর্ড অফিসার (রেকর্ড উইং, ঢাকা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী শারমিন জাহান শিল্পী এবং দুই কন্যা আফিফা জাহিন সুস্মিতা ও নাফিজা জাহিন ইফরীতকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২৪ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. বদরুল হুদা</b>, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৩, ১৯, ৪৭, ৫০ ও ৫৯ ইস্ট বেঙ্গল বিডিআর ও এএসইউয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন (টঘঙগঙত), জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন এবং আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নে (ঢাকা) অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নাসিমা বদরুল এবং দুই কন্যা সাবরিনা হুদা ও তামান্না হুদাকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২৫ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এলাহী মন্জুর চৌধুরী</b>, পদাতিক ১৯৬২ সালের ২৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৮, ৯, ২৩, ৩০ ও ৫২ ইস্ট বেঙ্গল এবং আর্মি এমপি ইউনিটে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুয়েত, আইভরিকোস্ট ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে এএজি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী তানি্ন ইয়াফতা চৌধুরী, দুই কন্যা সারাহ জুমানা মন্জুর ও ফারাহ মন্জুর এবং পুত্র ফাইয়াজ মনজুরকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২৬ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এনায়েতুল হক</b>, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬২ সালের ১৪ জুন ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২১, ২৫, ৩৩, ৩৮ ও ৫৬ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৭ স্বতন্ত্র মিডিয়াম ব্যাটারি আর্টিলারি, এসিঅ্যান্ডএস, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড ৩০৯ পদাতিক ব্রিগেড ও ১৯ পদাতিক ডিভিশনে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাজিকিস্তানে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক এবং আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে (দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের (ঢাকা) অধিনায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী শাহানা কবীর, দুই কন্যা নাবিলাহ এনায়েত প্রভা ও তামকিন এনায়েত শামাকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২৭। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মুছা মো. আইউব কাইসার, </b>পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৬২ সালের ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫ ও ১১ আরই ব্যাটালিয়ন, ২ ও ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১৬ ইসিবি ও এএসইউয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি জিই (আর্মি) হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে একিউএমজি (রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্মাণ শাখা) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মুশরাদ জাহান পিনু। কারিশা মুশরাত ও জাফারিয়া কাইসার নামে তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২৮। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম</b>, এসি ১৯৬০ সালের ১৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬ ক্যাভালরি, ৪ হর্স, ১২ ল্যান্সার, বিডিআর ও সেনা সদর সাঁজোয়া পরিদপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশন পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশন , অপারেশন সার্ক বন্ধন এবং মালদ্বীপে প্রেরিত টাস্কফোর্সে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর অপারেশন ও প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরে জিএসও-১ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।তিনি স্ত্রী শাহীনুর পারভীন জবা এবং তিন পুত্র শাহ মোঃ সালাউদ্দীন সাইফ, শাহ মোঃ আসিফ হাসান ও সরকার মোঃ শরীফুল ইসলাম আদ্দীনকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>২৯। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ লুৎফর রহমান</b>, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৪ সালের ১০ নভেম্বর জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ৪ মর্টার রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৬ স্বতন্ত্র এএ ব্যাটারি আর্টিলারি, ৫৭ ও ৫৮ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এএ ব্যাটারি আর্টিলারি, ৩৮ এসএএ রেজিমেন্ট আর্টিলারি; ৬, ১২, ১৫ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, সিলেট ক্যাডেট কলেজ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিডিআরের ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও পশ্চিম সাহারায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে (ঢাকা) অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তার স্ত্রী মুনমুন রহমান। এম তাসকীন রহমান ও তাম্মি তানজিনা রহমান নামে তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩০। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান</b>, অর্ডন্যান্স ১৯৬৭ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স ডেপো-যশোর, ৩১ আইএপি, অর্ডন্যান্স ডেপো-কুমিল্লা, ৫০৫ ডিওসি, অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, এরিয়া সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম এবং সেনা সদর অর্ডন্যান্স ও ডবি্লউইএন্ডএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে সহকারী পরিচালক, অর্ডন্যান্স সার্ভিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী শারমিন নিশাত সিরাজী এবং দুই পুত্র মোহাম্মদ মুহতাসিম ইত্তিসাফ ও মোহাম্মদ তাওসীফ ইসফাককে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩১। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান খান</b>, এএমসি ১৯৬৪ সালের ১ জুন ঝালকঠি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, ২৩ ও ২৪ ইস্ট বেঙ্গল, এএফএমআই, রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি পিলখানায় বিডিআর হাসপাতালে পর্যায়িত মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. রওশন আরা বেগম। তাঁর ফাবলিহা বুশরা নামে এক কন্যা এবং ফাহিম ইব্রাহিম রহমান খান নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩২। শহীদ মেজর মো. মকবুল হোসেন</b>, পদাতিক ১৯৬২ সালের ২৭ জানুয়ারি খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ২৩ ইস্ট বেঙ্গল, পিজিআর, বিডিআরের ৬ ও ৩৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এএসইউ ও ডিজিএফআই-এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইব্রেরিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে (দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী তাহিরা নিপা এবং একমাত্র কন্যা যারিন মুসাররাতকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩৩। শহীদ মেজর মো. আব্দুস সালাম খান</b>, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল, এসআইএন্ডটি, ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও এসএসএফে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে রেকর্ড অফিসার-২ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মাহবুবা বেগম বন্যা। সাকিব মাহমুদ খান (প্রীতম) ও আকিব মাহবুদ খান (প্রতীক) নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩৪। শহীদ মেজর হোসেন সোহেল শাহনেওয়াজ</b>, পদাতিক ১৯৬৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ১২, ২৫ ও ৩৪ ইস্ট বেঙ্গল; বিডিআর, সেনাসদর পিএ পরিদপ্তর, বাংলাদেশ আর্মড সার্ভিসেস বোর্ড, এএফএমএসডি ও বিআইআইএসএসে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের জেড এফএসও, ঢাকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী হাসনাহেনা চৌধুরী এবং কন্যা আদিবা কাশফী ঐশী ও পুত্র হোসেন সাফাত হাসনাতকে (ওহী) রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩৫। শহীদ মেজর কাজী মোছাদ্দেক হোসেন</b>, আর্টিলাটির ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ১৪ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৬ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, সদর দপ্তর লগ এরিয়া, বিডিআর ও র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইব্রেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি ৩৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী কোহিনুর হোসেন। তাঁদের দুই কন্যা কাজী নাজিফা তাবাস্সুম হোসেন ও কাজী নাজিয়া তাবাস্সুম হোসেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩৬। শহীদ মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম</b>, ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৬৫ সালের ১৯ আগস্ট পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, আর্মি এমপি ইউনিট, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, রংপুর ক্যাডেট কলেজ ও বগুড়ায় সিএমইএস (আর্মি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুয়েতে বাংলাদেশের কম্পোজিট ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন-৪-এ দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ডিএএএন্ডকিউএমজি, নির্মাণ (ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী আকলিমা আজিজ (রেবা), পুত্র আহমেদ আনজুম আজিজ ও কন্যা রোকাইয়া বিনতে আজিজকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩৭। শহীদ মেজর মোহাম্মদ সালেহ</b>, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১১, ২৫ ও ৫০ ইস্ট বেঙ্গল, আর্মি এমপি ইউনিট, ৭ এমপি ইউনিট ও ৯ পদাতিক ডিভিশনে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হাইতিতে জাতিসংঘ মিশন ও কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ডিএএজি (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাসরীন আহমদ রুমা এবং দই পুত্র রাইয়ান মাহমুদ ও রাজিন মাহমুদ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩৮। শহীদ মেজর কাজী আশরাফ হোসেন</b>, আর্টিলারি ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২১ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৭ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এডি ব্যাটারি আর্টিলারি, আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি ঢাকায় বিডিআরের ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নাদেজদা জেরিন চৌধুরী ছাড়াও কন্যা আফরা নাওরাহান (ঐশী) ও পুত্র আইলিয়া আশরাফ (সৌম্য)কে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৩৯। শহীদ মেজর মাহমুদ হাসান</b>, পদাতিক ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৩, ১৫, ২৭ ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল (১০ বীর), ১৯ বীর, আর্মি এমপি ইউনিট, ৭ এমপি ইউনিট ও সেনা সদর পিএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন মিশন ও জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষ মিশনদায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর সদর দপ্তর, ঢাকায় জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সোনিয়া হাসান। তাঁদের একমাত্র পুত্র নাফিস হাসান রাইয়ান।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪০। শহীদ মেজর মুস্তাক মাহমুদ</b>, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারি যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৫ ডিভ লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি, ১০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, এএসইউ ও সেনা সদর এসডি পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের বাংলাদেশ সেক্টর সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী শাহপার খান শম্পা, পুত্র সামিন মাহমুদ এবং দুই কন্যা সানজে মাহমুদ ও সাজিন মাহমুদকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪১। শহীদ মেজর মাহমুদুল হাসান,</b> আর্টিলারি ১৯৬৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৩ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও ৫৫ আর্টিলারি ব্রিগেডে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী আইরিন সুলতানা, কন্যা জারিন তাসনিম মাহমুদ ও পুত্র মোঃ মোহাইমিনুল হাসানকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪২। শহীদ মেজর হুমায়ুন হায়দার</b>, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪, ১৪ ও ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, এসএসএফ, ১৯ আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও সেনা সদর কল্যাণ ও পুনর্বাসন পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী শামীমা পারভিন, পুত্র তাসীন ঋতি্বক হুমায়ুন (গত ২০ জুলাই মারা গেছে) ও কন্যা উশিয়া আমরিন রূপন্তী।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪৩। শহীদ মেজর মোঃ আজহারুল ইসলাম</b>, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬, ১৪, ১৫ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং অ্যাডহক মিডিয়াম ব্যাটারি আর্টিলারিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের (খুলনা) উপ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।তিনি স্ত্রী শাহীনা শিউলী ও কন্যা আদনিনা ইসলাম (ঐশী)কে রেখে যান। গত ১৮ মে ২০০৯ তারিখে তাঁর স্ত্রী আরেকটি কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪৪। শহীদ মেজর মো. হুমায়ুন কবীর সরকার</b>, পদাতিক ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৯, ৩৪ ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল (১০ বীর), পিজিআর ও বিডিআরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ) ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (অপারেশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী রাশিদা কবীর রেবা এবং দুই পুত্র সাদাফ আবরার রাইয়ান ও তাশদীদ আবরার রাইয়ান।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪৫। শহীদ মেজর মোঃ খালিদ হোসেন</b>, আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ২৫ জুলাই পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, আর্মি এমপি ইউনিট ও ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে মহাপরিচালকের সচিবালয়ে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (কর্ড) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার। আরিহা তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তান হোসেন সেমন্তী।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪৬। শহীদ মেজর মাহবুবুর রহমান</b>, আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৯ ও ১২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯ ডিভ লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি, ২৫ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, এমআইএসটি ও ৫ এমপি ইউনিটে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে যোগ দিয়েছিলেন কেবল। তিনি স্ত্রী রিতা রহমান ও একমাত্র কন্যা ফায়জা মাহবুবকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪৭। শহীদ মোঃ মিজানুর রহমান</b>, পদাতিক ১৯৭০ সালের ৩১ মে পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ২১ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৮, ২৯ ও ৪৭ ইস্ট বেঙ্গল, ২৭ বীর, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি ও ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (ট্রেনিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।তাঁর স্ত্রী প্রয়াত রেবেকা ফারহানা রোজী এবং দুই পুত্র মোঃ তেহসিন বিন রহমান (রামী) ও মো. ফারদীন রহমান (সামী)।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪৮। শহীদ মেজর মোহাম্মদ মাকসুম-উল-হাকিম</b>, আর্টিলারি ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ২০ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ৫৭৫ এফআইইউয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার মাকসুম ও একমাত্র পুত্র মো. আহনাফ জারিফ খানকে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৪৯। শহীদ মেজর এস এম মামুনুর রহমান</b>, এএমসি ১৯৬৯ সালের ৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ জুলাই আর্মি মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ৭ ইস্ট বেঙ্গল, ৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি কুয়েতে অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ডিএডিএমএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী তাহমিনা সাদেক এবং একমাত্র পুত্র এসএএম মোস্তাফিজুর রহমান (তাহমীদ)কে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫০। শহীদ মেজর মোঃ রফিকুল ইসলাম</b>, এইসি ১৯৬৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালের ২৪ জুলাই শিক্ষা কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি সেনা সদর জেএজি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে লিগাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেএজি শাখায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী শাহিনা আক্তার। মো. শাদমান সাকীব ও মো. রাগীব শাহরিয়ার নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫১। শহীদ মেজর সৈয়দ মো. ইদ্রিস ইকবাল</b>, ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৭৩ সালের ২৬ মার্চ খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬ ও ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৫৭ ইঞ্জিনিয়ার কম্পানিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩০ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে (ওকেপি-১) দায়িত্ব পালন করেন। কুয়েত ছাড়াও তিনি সৌদি আরব, মিসর ও সাইপ্রাস সফর করেন। তাঁর স্ত্রী ডা. তাসলিমা রফিক। তাহসিনা বিনতে ইকবাল ও নুসাইবা বিনতে ইকবাল নামে তাঁদের দুইটি কন্যা সন্তান আছে। ইদ্রিস ইকবাল নিহত হওয়ার ৬ মাস পর গত আগস্টে তাঁদের দ্বিতীয় কন্যাটির জন্ম হয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫২। শহীদ মেজর আবু সৈয়দ গাযালী দস্তগীর</b>, এসি ১৯৭৪ সালের ১১ আগস্ট ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৫ সালের ১৫ জুন সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৯ বেঙ্গল ল্যান্সার, এফআইইউ, ১২ ল্যান্সার, বেঙ্গল ক্যাভালরি ও বিডিআরের ১৮ রাইফেল ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে রাইফেলস্ সিকিউরিটি ইউনিটের ইস্টার্ন ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ক্যাপ্টেন কাজী মৌসুমী, অর্ডন্যান্স ও একমাত্র পুত্র কাজী ইব্রাহিম দস্তগীর (অনিন্দ্য) কে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫৩। শহীদ মেজর মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন</b>, অর্ডন্যান্স ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ৭ জুন অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স ডেপো যশোর, সেন্ট্রাল অর্ডন্যান্স ডেপো, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও সেন্ট্রাল অ্যামোনিশন ডেপোতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুয়েতে উম-আল গোয়াতী প্রজেক্টে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে এটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার লিপি ও পুত্র মুহাম্মদ আকিব মাহমুদকে রেখে যান। গত ২৩ মে তাঁদের আরেকটি পুত্র সন্তান কামরান মোঃ আদিবের জন্ম হয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫৪ শহীদ মেজর মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম সরকার</b>, এসি ১৯৭৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ৭ জুন সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স, বিডিআর, ৬ ক্যাভ্যালরি, ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও আর্মি এমপি ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মৃত্যুর ১১ দিন পর তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সানজানা সোনিয়া জোবাইদা গত ৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে এক পুত্র সন্তানের মা হন, যার নাম রাখা হয়েছে সাদাকাত সাবরী বিন মমিন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫৫। শহীদ মেজর মোস্তফা আসাদুজ্জামান</b>, এসি ১৯৭৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১২ জুন সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স, এএসপিটিএস ও ১২ লান্সারে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ১১ রাইফেল ব্যাটালিয়নে (রামগড়) অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সাইয়ারা নুসরাত সাইকি। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম সাহমিন ইয়াশা সুহা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫৬। শহীদ মেজর তানভীর হায়দার নূর</b>, আর্টিলারি ১৯৭৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩৬ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৮ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও বিডিআরের ৩৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী তাসনুভা মাহা (প্রেরণা) স্ত্রীকে ছাড়াও তিনি দুই পুত্র তাসবীদ ইসরাক (ইফাজ) ও তাসবীর ইসফার (ওয়াদা)কে রেখে গেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>৫৭। শহীদ ক্যাপ্টেন মোঃ মাজহারুল হায়দার</b>, আর্টিলারি – ১৯৮০ সালের ৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন এবং ২০০০ সালে কমিশন প্রাপ্ত হন। তিনি বিডিআর ডিজি মহোদয়ের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষন লাভ করেন। ২৫শে ফেব্রুয়ারী ঘটনার ৮০ দিন পূর্বে তৎকালীন আইজিপি জনাব নূর মোহাম্মদ এর কন্যা ফারিহা নূর এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>তথ্যঃ</b> ইন্টারনেট অবলম্বনে।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-71265964219543184972018-05-07T05:17:00.001+06:002018-05-07T05:17:23.021+06:00জানাযা নামাজ পড়ার পদ্ধতি<div class="post-body entry-content" id="post-body-4574404789018181162" itemprop="description articleBody" style="border: 0px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: 1.6em; margin: 0px; padding: 0px; user-select: auto !important; vertical-align: baseline; width: 624px;">
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: center; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg6-P6cxfeu3MYzLSf-j5-tcd2QOLEnS_UOXJ5Qj2GAM1Ap2kbF9XsqVrqIOeIc02G-vfUwtJb4Li6YPAqtB36WObDTKtmiND5gsGymP0bo7FEYfafQiqAhIeeT9tzmCpdUD4RjRL1qCpGP/s1600/Janaza.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="333" data-original-width="640" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg6-P6cxfeu3MYzLSf-j5-tcd2QOLEnS_UOXJ5Qj2GAM1Ap2kbF9XsqVrqIOeIc02G-vfUwtJb4Li6YPAqtB36WObDTKtmiND5gsGymP0bo7FEYfafQiqAhIeeT9tzmCpdUD4RjRL1qCpGP/s640/Janaza.jpg" width="640" /></a></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">জানাযার নামাজ ফরজে কিফায়া। এ নামাজ মুসল্লিদের জন্য সাওয়াব বর্ধন এবং মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ। </span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">জানাযায় লোক সংখ্যা বেশি হওয়া মুস্তাহাব এবং মুসল্লি সংখ্যা যত বাড়তে ততই উত্তম। তবে কাতার বেজোড় হওয়া উত্তম। </span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">জানাযার নামাজ মূলত মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার। জানাযার নামাজ পড়ার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">১. প্রথমত মৃত ব্যক্তিকে ক্বিবলার দিকে সম্মুখে রেখে ইমাম ও মুসল্লিদের দাঁড়ানো।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">২. মুসল্লীরা নামাজের অজুর ন্যায় অজু করে ইমামের পিছনে ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">৩. মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে ইমাম তার মাথার পাশে দাঁড়ানো। আর মহিলা হলে কফিনের মাঝ বরাবর দাঁড়ানো। মৃত ব্যক্তির মাঝ বরাবর দাঁড়ানোতে কোনো দোষ নেই।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">৪. জানাযার নিয়ত করে চার তাকবিরের সহিত নামাজ আদায় করা।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">৫. কাঁধ বা কানের লতি পর্যন্ত দু’হাত উত্তোলন করে আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাঁধা।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">৬. অন্যান্য নামাজের ন্যায় ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">৭. ছানা পড়া (কেউ কেউ সুরা ফাতিহা পড়ে অন্যান্য সুরা মিলানোর কথা উল্লেখ করেছেন।)</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">৮. দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরূদে ইবরাহিম পড়া।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">৯. তৃতীয় তাকবির দিয়ে ইখলাসের সঙ্গে হাদিসে বর্ণিত দোয়াসমূহের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">১০. চতুর্থ তাকবির দিয়ে যথাক্রমে ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে জানাযার নামাজ শেষ করা।</span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;"><br /></span></span></div>
<div class="separator" style="border: 0px; clear: both; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; user-select: auto !important; vertical-align: baseline;">
<span style="color: #333333; font-family: Arial, sans-serif;"><span style="font-size: 13px;">আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় এবং নিজেদের সাওয়াব বৃদ্ধিতে সুন্দরভাবে জানাযার নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।</span></span></div>
</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-34122974668774803482016-06-28T17:08:00.003+06:002016-06-28T17:08:44.345+06:00৪০ লাখ সওয়াব পাওয়া যায় যে দোয়া পাঠে<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjBCbgtv4-Pvqj5_gyZEpWgOZRhpx1PzX2r9H5c7if6oHVQB4BekHRGeU60VL0SXd4ajGiq_91k4EH561FYgLAmqEH4xUY6hYWMf3IJbgRKPYTYXZHC-AXMxTr7vtkW9bunq19olZF7HQeK/s1600/%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="৪০ লাখ সওয়াব পাওয়া যায় যে দোয়া পাঠে" border="0" height="382" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjBCbgtv4-Pvqj5_gyZEpWgOZRhpx1PzX2r9H5c7if6oHVQB4BekHRGeU60VL0SXd4ajGiq_91k4EH561FYgLAmqEH4xUY6hYWMf3IJbgRKPYTYXZHC-AXMxTr7vtkW9bunq19olZF7HQeK/s640/%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4.jpg" title=" দোয়া" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<b><br /></b></div>
<div style="text-align: justify;">
<b><br /></b></div>
<div style="text-align: justify;">
<b><br /></b></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>ওমর শাহ : </b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বিশিষ্ট সাহাবি হজরত তামিম দারি রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বাক্য দশ বার পড়বে সে চল্লিশ লাখ সওয়াব পাবে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>বাক্যটি হলো,</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #38761d;">أَشْهَدُ أَنْ لاَ إله إِلاَّ الله، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، إِلهاً وَاحِداً أَحَداً صَمَداً لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَةً وَلاَ وَلَداً</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #38761d;">وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>উচ্চারণ:</b> </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ইলাহান ওয়াহিদান, আহাদান সামাদান, লাম ইয়াত্তাখিজ সাহিবাতান, ওয়ালা ওয়ালাদান; ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>অর্থ: </b></div>
<div style="text-align: justify;">
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একা, তার কোনো শরিক নেই। একক উপাস্য, একাই, অমুখাপেক্ষী, তার স্ত্রী-সন্তান নেই। তার সমকক্ষও কেউ নেই।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-55719570673397458002016-06-28T17:00:00.002+06:002016-06-28T17:00:47.279+06:00ইতিকাফ ও পেশাদারিত্ব<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEibwmgSGxNefmZv9z41DjevDvhWwXQNvo_wYy5nEaIdbif3hykTRO9BOewvqfJRi-m4TlaiaTgcflSKWfwUSYHD2HoFIc3IgsD6fyohjK8qrWFGuqeLBunGTR30tr5Ju5hn_xTHOc-WG5v7/s1600/%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25A4-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25BF.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="নবীদের উম্মতদের ইবাদত-বন্দেগির বিষয়ে আলোচনা" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEibwmgSGxNefmZv9z41DjevDvhWwXQNvo_wYy5nEaIdbif3hykTRO9BOewvqfJRi-m4TlaiaTgcflSKWfwUSYHD2HoFIc3IgsD6fyohjK8qrWFGuqeLBunGTR30tr5Ju5hn_xTHOc-WG5v7/s640/%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25A4-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25BF.jpeg" title="ইবাদত-বন্দেগি" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<b><br /></b></div>
<div style="text-align: justify;">
<b><br /></b></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: </b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
শবে কদরের সন্ধান কে না করতে চায়! একবার রাসুল (সা.) তাঁর পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতদের ইবাদত-বন্দেগির বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
একপর্যায়ে তিনি বললেন, বনী ইসরাইলের এক ব্যক্তি হাজার বছর দিনে জিহাদে ও রাতে নফল ইবাদত করে কাটিয়েছেন। তখন সাহাবায়ে কেরাম পরস্পর আলোচনা করছিলেন যে আগেকার উম্মতদের কত সৌভাগ্য! তাঁরা হায়াতও বেশি পেয়েছেন, আমলও বেশি করেছেন, আর আমাদের হায়াতও কম আমলও কম। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমাদের আয়ু কম হওয়ায় আমরা আমলের দিক দিয়ে তাঁদের থেকে অনেক পেছনে পড়ে গেলাম। তখন আল্লাহ সূরা কদর নাজিল করলেন। এ সূরায় আল্লাহপাক উম্মতে মুহাম্মাদি (সা.)-কে সুসংবাদ দিলেন যে কোনো উম্মত যদি জীবনে শবে কদর শুধু একবার পেয়ে যায় এবং ওই রাতকে যথাযথ কদর করে ও ইবাদত করে, তাহলে সে যেন হাজার মাসের (তিরাশি বছর চার মাসের) চেয়ে অধিককাল ইবাদত করল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কোনো ডাক্তার যদি ইতিকাফ করেন, এমতাবস্থায় মসজিদে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখে বা রোগীর অবস্থার বিবরণ শুনে চিকিৎসা করতে পারবেন বা ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতে পারবেন। সে রোগী ইতিকাফে অবস্থানকারী হোক বা না হোক। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এটি ইতিকাফের পরিপন্থী নয়; বরং এতে বেশি নেকি লাভ হবে। কিন্তু এর জন্য কোনো ফি বা বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না; তবে কেউ নিঃশর্ত হাদিয়া প্রদান করলে তা গ্রহণ করা জায়েজ। (ফাতাওয়া দারুল উলুম)।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-38571381136359808802016-06-28T16:52:00.001+06:002016-06-28T16:52:15.991+06:00লাইলাতুল কদর এর মাহাত্ম<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjU5KKzWgLbghXwbpllnJpAgITloRr0SY0zzseEjfz1lMVWeZQ6_M7mAHELd15gwvVXY8mTEh6Vlg5HgBWm5_1CINKNZXBQFZnBpAswSCS2RvAOft7rYeUQxrX8GpDHPqROZCefV4TKxqDS/s1600/Den-Store-Moske-i-Herat_-Afghanistan.-L_C.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="লাইলাতুল কদর এর মাহাত্ম" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjU5KKzWgLbghXwbpllnJpAgITloRr0SY0zzseEjfz1lMVWeZQ6_M7mAHELd15gwvVXY8mTEh6Vlg5HgBWm5_1CINKNZXBQFZnBpAswSCS2RvAOft7rYeUQxrX8GpDHPqROZCefV4TKxqDS/s640/Den-Store-Moske-i-Herat_-Afghanistan.-L_C.jpg" title="লাইলাতুল কদর" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
‘লাইলাতুল কদর’ আরবি শব্দ। শবে কদর হলো ‘লাইলাতুল কদর’-এর ফারসি পরিভাষা। ‘শব’ অর্থ রাত আর আরবি ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থও রাত বা রজনী। কদর অর্থ সম্মানিত, মহিমান্বিত। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ সম্মানিত রজনী বা মহিমান্বিত রজনী।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বুঝে আসে। ‘শবে বরাত’ ও শবে বরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফকিহদের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে, লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনোই অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস ও রাসূলুল্লাহ সা: এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ সম্মানিত রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি এ কুরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাস থেকেও উত্তম ও কল্যাণময়’ (সূরা আল কদর : ১-৩)। এই রাত কোন মাসে? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘রমজান এমন মাস যাতে কুরআন নাজিল হয়েছে’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)। এই রাত রমজানের কোন তারিখে? রাসূলুল্লাহ সা: একটি রহস্যময় কারণে তারিখটি সুনির্দিষ্ট করেননি। ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরমিজি কর্তৃক বর্র্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেছেন, নবী করিম সা. বলেছেন, ‘কদরের রাতকে রমজানের শেষ দশ রাতের কোন বেজোড় রাতে খোঁজ করো।’</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
হজরত আবু বকর রা. ও হজরত আবব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হাদিস থেকেও এই একই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। অবশ্য কোনো কোনো ইসলামী মনীষী নিজস্ব ইজতিহাদ, গবেষণা, গাণিতিক বিশ্লেষণ ইত্যাদির মাধ্যামে রমজানের ২৭ তারিখের রাতে (অর্থাৎ ২৬ রোজার দিবাগত রাতে) শবে কদর হওয়ার অধিক সম্ভাবনার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা: এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি; বরং কষ্ট করে খুঁজে নিতে বলেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মহিমান্বিত এ রাতকে মহান আল্লাহ রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লুকিয়ে রেখেছেন। বান্দাহ বিনিদ্র্র রজনী কাটাবে, সবর করবে এর মধ্যে খুঁজে পাবে সম্মানিত রাত, পাবে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত; ফেরেশতার অদৃশ্য মোলাকাতে সিক্ত হবে তার হৃদয়, আপন রবের ভালোবাসায় হবে সে উদ্বেলিত। এ যেন দীর্ঘ বিরহের পর আপনজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ। এ দীর্ঘ প্রতিক্ষার কষ্ট-বিরহের মাধ্যমে রব তার বান্দাহকে আরো আপন করে নেন। কাজেই শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদতে মশগুল হতে হবে। প্রতিটি রাতকেই লাইলাতুল কদর মনে করতে হবে। তা হলে লাইলাতুল কদর আল্লাহর মেহেরবানিতে হাতছাড়া হবে না ইনশাআল্লাহ। রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখের রাতগুলোই ( অর্থাৎ ২০, ২২, ২৪, ২৬ ও ২৮ শে রোজার দিবাগত রাত ) হলো শেষ দশকের বেজোড় রাত।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ রাত হাজার মাস থেকে উত্তম ও কল্যাণময় (কুরআন)। এ রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল করা হয়েছে (কুরআন)। এ রাতে ফেরেশতা নাজিল হয় এবং আবেদ বান্দাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফজর পর্যন্ত এ রাতে পুরোপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার (কুরআন)। এ রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয় (কুরাআন)। এ রাতে ইবাদতে মশগুল বান্দাহদের জন্য অবতরণকৃত ফেরেশতারা দোয়া করেন (হাদিস)।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>গুনাহ মাফ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর কাছ থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে’ (বুখারি ও মুসলিম)। এ রাতের কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মুসনাদে আহমেদ গ্রন্থে হজরত ওবায়দা ইবনে সামেত বর্ণিত হাসিসে উদ্ধৃত হয়েছে- ‘নবী করিম সা: বলেছেন- ‘কদরের রাত রমজান মাসের শেষ দশ রাতে রয়েছে। যে ব্যক্তি এর শুভফল লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, আল্লাহ তার আগের ও পেছনের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রাসূল সা: রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতেকাফে থাকতেন এবং ইবাদতে গভীর মনোনিবেশ করতেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কাজেই আমরা কোনো একটা বিশেষ রাতকে নির্দিষ্ট না করে হাদিস অনুযায়ী অন্তত রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য লাভের আশায় ইবাদতে মশগুল হই। আমরা এতে অবহেলা করলে হাদিসের ভাষায় হতভাগ্য হিসেবে চিহ্নিত হবো। রাসূল সা: বলেন- ‘যে ব্যক্তি এ রাত থেকে বঞ্চিত হবে সে সমগ্র কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হবে। এর কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না’ (মিশকাত)।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-32596320518927686912016-06-28T16:44:00.000+06:002016-06-28T16:44:00.512+06:00হযরত আলী রা. এর শাহাদাত বরণ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRamNvVtFOEgU6FZHTYdVw9H_k7UmE71erF17dI_nXm-WUtPGIew4jFH_V9D6A7K2k0R8sug8li12yM7dSPxooMisPipcdac7NNXm7UAg2DWTwMFCzpsEARigvRvCEehkWSfyrQzdak8uw/s1600/bismillah.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="হযরত আলী রা. এর শাহাদাত বরণ" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRamNvVtFOEgU6FZHTYdVw9H_k7UmE71erF17dI_nXm-WUtPGIew4jFH_V9D6A7K2k0R8sug8li12yM7dSPxooMisPipcdac7NNXm7UAg2DWTwMFCzpsEARigvRvCEehkWSfyrQzdak8uw/s640/bismillah.jpeg" title="হযরত আলী রা" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
হজরত আলি রা.। যুবকদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণে তিনিই ছিলেন প্রথম। ২১ রমজান তিনি এক মুনাফিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তাঁর পিতা আবু তালিব, যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্বনবি। তাঁর মাতা ফাতিমা বিনতে আসাদ, যিনি বিশ্বনবির লালন-পালনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। হজরত আলির পিতা আবদুল্লাহ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিতা আবদুল্লাহ এবং যুবাইর এ তিনজন ছিল সহদর ভাই।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু হাশেমকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার সময় হজরত আলি বিশ্বনবির সঙ্গে থাকার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তিনি ছিলেন কিশোর। এমনকি মক্কার চরম বিপদের সময় বিশ্বনবি হজরত আলিকে হিজরতের রাতে তাঁর বিছানায় শুইয়ে রেখে গিয়েছিলেন। যাতে বিশ্বনবির নিকট মানুষের গচ্ছিত আমানত তিনি প্রত্যার্পন করে মদিনায় হিজরত করেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু তাঁর জীবদ্দশায় সংঘটিত প্রত্যেকটি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বীরত্ব ও সাহসিকতার এমন এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, যা আজো ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কলিজার টুকরা হজরত ফাতিমাকে তাঁর কাছে বিবাহ দেন। তিনি ছিলেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় অপ্রতিদ্বন্দ্বি। তাঁর সম্পর্কে বিশ্বনবির বক্তব্য ছিল এমন যে, আমি জ্ঞানে শহর আর আলি হলো সে শহরের দরজা। তাইতো হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় বাইয়াতে রিদওয়ানের চুক্তিপত্র তিনিই লিখেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
৯ম হিজরি সনে হজরত আবু বকরের নেতৃত্বে হজ পালনের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশে তিনি সুরা তাওবার ১ থেকে ৩৭ আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করে হজে আগত লোকদেরকে শোনান। এ আয়াতগুলোতে ছিল মুক্তির ঘোষণা এবং কাফের মুশরিকদের হজ্ব সম্পাদনে অনুমতি দানের অস্বীকৃতি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ইসলামের ইতিহাসে যুবকদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ১৯ রমজান ফজরের নামাজ আদায় করার সময় ইবনে মুলযেমের তরবারির আঘাতে আহত হন। অবশেষে ৪০ হিজরির ২১ রমজান শাহাদাত বরণ করেন।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-87153090628956039842016-06-27T19:02:00.002+06:002016-06-27T19:02:33.264+06:00ভ্রমণে খরচ কমানোর ৮টি সহজ পথ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMcmswTEgNpTVUL0lypiU5rHD1fVCM0rRWPnvUxvB7HNrOhfctYU_Iyig1cPTcPe3qWVuB0S8EGvRCQNEq07PdgMGr3wCFn7A0vInmkGSQRjRFuFqnDOJFzfMxGEOSXlzHwVMa2L0lQTHN/s1600/taz+mahal.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="ভ্রমণে খরচ কমানোর ৮টি সহজ পথ" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMcmswTEgNpTVUL0lypiU5rHD1fVCM0rRWPnvUxvB7HNrOhfctYU_Iyig1cPTcPe3qWVuB0S8EGvRCQNEq07PdgMGr3wCFn7A0vInmkGSQRjRFuFqnDOJFzfMxGEOSXlzHwVMa2L0lQTHN/s640/taz+mahal.jpg" title="ভ্রমণে খরচ কমানো" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বেড়াতে সবারই মন চায়। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না অনেক সময়ে। খরচ কমাতে পারলে অবশ্য অনেক ঘোরা যায়। কেমন করে কমাবেন খরচ?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কাছে কিংবা দূরে যেখানেই বেড়াতে যান খরচের উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। মনে রাখবেন একই জায়গায় বেড়াতে গিয়ে যেমন হাত খুলে খরচ করা যায় তেমনই হিসেব করে খরচ করা যায়। জেনে নিন কী করে খরচ কমাবেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
১। প্রথমেই খেয়াল রাখুন টিকিট কাটার সময়ে। অনেক ট্রেন একটু সময় বেশি নিয়ে গেলেও ভাড়া কম হয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
২। ট্রেনে যে কোনও জিনিসের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়। ট্রেনে ওঠার আগে খাবার-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিন।</div>
<div style="text-align: justify;">
৩। আলাদা গাড়ি ভাড়া না করে পর্যটন কেন্দ্রের লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
৪। সস্তার হোটেল খুঁজে নিন। সবথেকে ভাল ‘হোম-স্টে’। যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা থাকাটা জরুরি কিন্তু খুব বেশি বিলাসের কথা ভাববেন না।</div>
<div style="text-align: justify;">
৫। যতটা সম্ভব হোটেলের খাবার এড়িয়ে চলুন। স্থানীয় খাবার বেছে নিন। এটা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল।</div>
<div style="text-align: justify;">
৬। হুটপাট জিনিসপত্র কেনাকাটা করবেন না। যে কোনও পর্যটন কেন্দ্রে সব জিনিসের দামই স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
৭। সাইট সিয়িংয়ের জন্য প্যাকেজ ট্যুরে না গিয়ে আগে থেকে বেছে নিন আপনি ঠিক কোথায় কোথায় যেতে চান।</div>
<div style="text-align: justify;">
৮। বড় দলের সঙ্গে বেড়াতে যান। তাতে গড়ে খরচ কম হবে। অনেকটাই কমে যাবে গাড়ি ভাড়ার খরচ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b><span style="color: red;">সতর্কীকরণ—</span></b> <span style="color: #b45f06;">হনিমুন বা পরিবারকে নিয়ে বেড়াতে গেলে কিপ্টেমো না করাই ভাল।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #b45f06;"><br /></span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #b45f06;">সূত্রঃ এবেলা </span></div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-69001668997018923522016-06-27T18:25:00.001+06:002016-06-27T18:25:08.908+06:00কোন কাপড় না ধুয়ে কতদিন পরা উচিত<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiV3qiE4dEifnkOo3f55xaXXexpMucXAlMP3yO_D43hBiaFgJmIdSKUoj7-oCASMh62Y8psJdK_jyCE0BB1Yj2BfyyB3DqvcvhfujbIIea2icANMKunmgmtMOL1i5Aq6u4C3TwjTGCkvMOR/s1600/Gince-%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B8.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="কোন কাপড় না ধুয়ে কতদিন পরা উচিত" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiV3qiE4dEifnkOo3f55xaXXexpMucXAlMP3yO_D43hBiaFgJmIdSKUoj7-oCASMh62Y8psJdK_jyCE0BB1Yj2BfyyB3DqvcvhfujbIIea2icANMKunmgmtMOL1i5Aq6u4C3TwjTGCkvMOR/s640/Gince-%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B8.jpg" title="কাপড়" width="640" /></a></div>
<br />
আপনি কি জানেন জিন্স, টি শার্ট বা অন্য কাপড় ধোয়ার আগে কতদিন পরা যেতে পারে? জেনে নিন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন৷<br />
<br />
<b>নতুন কাপড়</b><br />
বাজার থেকে যে কোনো কাপড় কিনে এনে অবশ্যই ধুয়ে পরা উচিত৷ কাপড়ের রং আসলে রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রন, তাই ধোয়ার পর পরাটাই নিরাপদ৷<br />
<br />
<b>জিন্স</b><br />
জিন্সের প্যান্ট টানা ৫ দিনের বেশি পরা উচিত নয়৷ বড় জোর ৫ দিন পরার পর ধুয়ে ফেলা উচিত, কেননা, ঘামের জীবাণু থেকে শরীরে চুলকানি হতে পারে৷<br />
<b><br /></b>
<b>পায়জামা</b><br />
শোওয়ার সময় যে পায়জামা পরা হয়, সেটা টানা তিন দিন পরার পরই ধোয়া উচিত৷<br />
<br />
<b>টি-শার্ট</b><br />
যদি অতিরিক্ত গরম হয়, আর ভীষণ ঘাম হয়, তাহলে প্রতিবার পরার পর টি- শার্ট ধোয়া উচিত৷ আর তেমন গরম না হলে টানা দু’দিন পরা যেতে পারে৷<br />
<br />
<b>অন্তর্বাস</b><br />
অন্তর্বাস কয়দিন পরবেন তা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে৷ ভীষণ গরম হলে প্রতিদিনই ধোয়া উচিত৷ আর ঠাণ্ডার সময় হলে তিন-চার দিন পর৷ অনেকেই এ বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দেন না৷ কিন্তু জননাঙ্গকে পরিষ্কার এবং রোগমুক্ত রাখার জন্য অন্তর্বাস নিয়মিত ধোয়া ভালো৷<br />
<br />
<b>স্কার্ট আর ট্রাউজার</b><br />
গরমের দিনে একটা ট্রাউজার টানা দুদিনের বেশি পরা উচিত নয়৷ আর স্কার্ট চার-পাঁচ বার পরা যেতে পারে৷<br />
<br />
<b>টুপি</b><br />
তিনবার পরিধানের পর টুপি অবশ্যই ধোয়া উচিত, কেননা, মাথার ঘাম আর চুলের ধুলা ও খুশকি এতে লেগে থাকে৷ তাই চুল ও মাথার ত্বক ভালো রাখতে টুপি ধুতে হবে৷<br />
<br />
<b>চাদর আর বালিশের কভার</b><br />
সহবাসের পর চাদর ধোয়া উচিত৷ আর অন্য ক্ষেত্রে চার-পাঁচদিন পর বালিশের কভার ও বিছানার চাদর ধোয়া উচিত৷<br />
<br />
<b>গামছা ও তোয়ালে</b><br />
একটা তোয়ালে বা গামছা টানা ৫ দিন ব্যবহার করার পর ধোয়া উচিত৷ তবে রোগীর তোয়ালে প্রতিদিনই ধোয়া উচিত৷ এছাড়া রুমালও প্রতিদিন ধোয়া উচিত৷Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-89985685639028779162016-06-26T11:06:00.000+06:002016-06-26T11:06:02.407+06:00আমের গুণের নানা দিক<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmY8_bvrDV6Qc4WWfoEGA9yC2ObubP2yE8X5RVzDigwtnYOYwMTeZ1R4B8hLYgCfn6WUinAZbJY6MzKQA6zOk-Awdrs-ED7EJ8xk7MvbfboPkapzLiXedgVB9SlvhNLMmAl3Ll7ddXsLsJ/s1600/skin-care-tips-mango-for-skin-care.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="422" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmY8_bvrDV6Qc4WWfoEGA9yC2ObubP2yE8X5RVzDigwtnYOYwMTeZ1R4B8hLYgCfn6WUinAZbJY6MzKQA6zOk-Awdrs-ED7EJ8xk7MvbfboPkapzLiXedgVB9SlvhNLMmAl3Ll7ddXsLsJ/s640/skin-care-tips-mango-for-skin-care.jpg" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
গ্রীষ্মকাল যেমন প্রচন্ড দাবদাহ নিয়ে আসে তেমনি নিয়ে আসে প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য্যের ভান্ডার। আম হচ্ছে গ্রীষ্মের সবচেয়ে উপাদেয় উপহার। এ সময় প্রচুর পরিমাণে আম পাওয়া যায়। আম খেতে যেমন ভালো তেমনি এর পুষ্টিগুণও অনেক। এজন্যই একে ‘ফলের রাজা’ বলা হয়ে থাকে। আম যে শুধু খেতেই সুস্বাদু তাও নয় এটি রূপচর্চার-ও কাজে লাগে। তবে আর দেরী কেন? চলুন জেনে নেই আমের গুণাগুণ সম্পর্কে -</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: center;">
<b>স্বাস্থ্যকর দিকঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০১. ক্যান্সার প্রতিরোধঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমরা সবাই জানি যে প্রতিরোধ প্রতিকারের চেয়ে ভালো আর ক্যান্সারের মত রোগ প্রতিরোধ করা তো অবশ্য কর্তব্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলন, স্তন, লিউকোমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমে রয়ছে কেরোটিন, আইসো-কেরোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক এসিড, মিথাইল গ্যালাট এবং আরো অনেক রকম এনজাইম; যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০২. কোলোস্টেরল কমানোঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আম হচ্ছে ফাইবার, পেকটিন ও ভিটামিন সি এর ভালো উৎস। এসব উপাদানে রক্তে খারাপ কোলোস্টেরল তথা লো ডেনসিটি লিপো-প্রোটিন (এলডিএল) কম করে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০৩. ত্বক পরিষ্কারকঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমের খাদ্যগুণ ভেতর থেকে ত্বকের দ্যূতিময়তা ফিরিয়ে আনে এবং ময়লয়া পরিষ্কার করে ত্বকে আনে নতুন জেল্লা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০৪. চোখের স্বাস্থ্যঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এক কাপ আম কুচি দেহের ২৫% ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করে। নিশ্চয়ই জানেন ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখতে কতটা জ়রুরী, আর বুঝতেই পারছেন আম এক্ষেত্রে কতটা সাহায্য করে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০৫. অ্যালকালী পদার্থ সংরক্ষণঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমের টারটারিক এসিড, মেলিক এসিড এবং বিবুল পরিমাণে সাইট্রিক এসিড দেহের অ্যালকালী জাতীয় পদার্থ সংরক্ষণে অংশ নেয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০৬. ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আম রক্তে ইন্সুলিনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। সেজন্য আগের কালের নিয়ম অনুযায়ী কিছু পাতা পানিতে সেদ্ধ করে সারারাত ওভাবে রেখে দিয়ে সকালে ছেঁকে সে পানি পান করুন। আমে রয়েছে তুলনামূলক কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স (৪১-৬০), যা রক্তে সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০৭. ভিটামিন ইঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া ভিটামিন ই দেহের গোপন অঙ্গ সমূহের খেয়াল রাখে নিবিড়ভাবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০৮. হজমে সহায়তাঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আম হচ্ছে অনেক এনজাইম পূর্ণ একটি ফল। এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। আমের আঁশের স্বাস্থ্যকর গুনাগুণ হজমে ও পরিপাকে সহায়তা করে থাকে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>০৯. হিট স্ট্রোক মোকাবেলায়ঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তীব্র গরমে এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস আপনাকে বাঁচাতে পারে হিট স্ট্রোক থেকে। আয়ুর্বেদিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে রোদের প্রচন্ড তাপে দেহের জীবনীশক্তি ও কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, ফলে মাংস পেশী নিস্তেজ হয়ে শরীরকে চলচল অযোগ্য করে তোলে। তখন কাঁচা আমের রস, পানি ও চিনি বা গুড়ের মিশ্রণে তৈরী পানীয় আপনার জীবন বাঁচাতে এবং হিট স্ট্রোক মোকাবেলায় অদ্বিতীয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১০. ইমিউন সিস্টেমঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ আর সেই সাথে ২৫ টির-ও বেশি রকমের ক্যারোটিনয়েডস। যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখে সুস্থ্য।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>১১. পুষ্টিগুণঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
প্রতি ২২৫ গ্রাম আমে রয়েছে নিম্নোক্ত পুষ্টি উপাদান; যা প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ১০৫ ক্যালরি,</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ৭৬% ভিটামিন সি,</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ২৫% ভিটামিন এ,</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ১১% ভিটামিন বি৬ প্লাস এবং অন্যান্য ভিটামিন বি,</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ৯% স্বাস্থ্যকর প্রো-বায়োটিক ফাইবার,</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ৯% কপার,</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ৭% পটাশিয়াম,</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- ৪% ম্যাগনেসিয়াম ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>রূপচর্চায়ঃ</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রূপচর্চার ক্ষেত্রে আমের জুড়ি মেলা ভার; চলুন জেনে নেই রুপচর্চায় আমের ভূমিকা -</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- প্রতিদিন একটি আম গ্রহণে ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
-প্রতিবার খাওয়ার সময় এক টুকরো আম ত্বকে বু্লিয়ে নিন। এতে ত্বকের ডালনেস কমবে আর জেল্লা বাড়বে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- পাকা আম ব্রণ সারাতেও সাহায্য করে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- রোদে পোড়া ত্বকে পাকা আমের ক্বাথ ও গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করুন। উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
- তাছাড়া ত্বকের দাগে নিয়মিত আমের রস ব্যবহারে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমরা সবাই কম বেশি আম খেতে ভালবাসি, তবে সবাই কি জানতাম আমের এত গুণের কথা? আমের সব গুণ লিখে শেষ-ও করা যাবে না। উপভোগ করুন গ্রীষ্মকাল – আমের মধুতে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<b><br /></b></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>লিখেছেনঃ রোজা স্বর্ণা</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>ছবিঃ </b>গোইন্ডিয়া.ব্লগস্পট.কম</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-34191752773026551832016-06-26T09:42:00.000+06:002016-06-26T09:42:25.398+06:00সুগন্ধি ব্যবহারের আদব-কেতা<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhB1KsWH8ROep071TIpbsQw_V31aYz_56_B8dDaw2hdlaWb8DxrWj7XnaNucO0FbGq3FLqhajsvfhCBDbG7AslmR21fNunA68Nuj1Lj1WSOZHoC45L1FXby28CLY1Lz750fkaP5GARFFRZz/s1600/%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25BF.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" height="344" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhB1KsWH8ROep071TIpbsQw_V31aYz_56_B8dDaw2hdlaWb8DxrWj7XnaNucO0FbGq3FLqhajsvfhCBDbG7AslmR21fNunA68Nuj1Lj1WSOZHoC45L1FXby28CLY1Lz750fkaP5GARFFRZz/s640/%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25BF.jpg" title="সুগন্ধি" width="640" /></a></div>
<br />
<br />
<br />
রেমি মার্কেজ, নেপলিয়ন সি কিস আর ড্রিম মোর – এ তিনটি হল আমার জীবনে উপহার পাওয়া তিনটি শ্রেষ্ঠ সুগন্ধি । অসাধারণ সুরভি আর অদ্ভূত সুন্দর বোতল- দু’টোই খুব আকর্ষণীয় ! আর সুগন্ধিগুলো ব্যবহারের পরেও বলাই বাহুল্য, একটা অন্যরকম সতেজতা কাজ করে ভেতরে, যার ছাপ পড়ে আমার কাজ-কর্মে এবং পরিবেশেও । কেউ যখন সুগন্ধির খুব প্রশংসা করে, তখন বোঝা যায় সুগন্ধিগুলোর মহিমা !<br />
<br />
আসলে সুগন্ধি হল ব্যক্তিত্বেরই একটি অংশ । আপনি সুগন্ধি ব্যবহারের আদব-কায়দা যত ভালো রপ্ত করতে পারবেন, আপনার ব্যক্তিত্বও তত অসাধারণ হয়ে ফুটে উঠবে । আমার মতো অনেকেই হয়তো আছেন, যারা সুগন্ধির খুব বড় ফ্যান । তাদেরকেই বলছি, সুগন্ধি ব্যবহারের আদব-কেতা সঠিকভাবে মেনে চলছেন তো ? সুগন্ধির ভুলভাল ব্যবহারে অন্যের সামনে অস্বস্তিতে পড়ছেন নাতো আবার ?<br />
<br />
সুগন্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা এড়াতে আয়ত্ব করে নিন তাহলে নিচের বিষয়গুলোঃ<br />
<br />
<b>০১. নিজের পছন্দেই চলুন</b><br />
<br />
আপনি ব্যক্তিজীবনে যেমন আছেন, সুগন্ধি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সেরকমই প্রাধান্য দিন । যেকোনো সময় ও অভিজ্ঞতায় আপনি আসলে কেমন এবং কী ভালবাসেন, এটা জানা থাকলে মনে আনন্দের সঞ্চার ঘটে । সুগন্ধি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয় । নিজেকে প্রশ্ন করুন, “আপনি কি সতেজতা ও নির্মলতা ভালবাসেন ?” “আপনি কি মিষ্টি অথবা ফুলেল কোনকিছু ভালবাসেন ?” “আপনি কি তীব্র ও ঝাঁঝালো কিছুকে ভালবাসেন ?” তাহলে এমন কোন সুগন্ধির ব্র্যান্ডকে বেছে নিন, যা আপনার ব্যক্তিত্বকে জাগিয়ে তুলবে এবং আপনার আশেপাশে থাকা মানুষজনও তার আঁচ পাবে । শুধুমাত্র উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে অথবা বন্ধুকে দেখে উৎসাহিত হয়েই একটি ব্র্যান্ড হুট করে কিনে ফেলবেন না । নিজে যেটা ব্যবহার করে তৃপ্তি পাবেন বলে মনে করেন, সেটিই বেছে নিন ।<br />
<br />
<b>০২. নিজের ওপর পরীক্ষা করুন</b><br />
<br />
সুগন্ধির সর্বশেষ উপাদান হল দৈহিক রসায়ন । অন্য কারো দেহে যে গন্ধ ভাল লাগে, আপনার দেহে তা নাও লাগতে পারে, এমনকি সে আপনার মা কিংবা বোন হলেও । আমাদের প্রত্যেকের দেহই আলাদা আলাদা রসায়নে তৈরি । আর ঠিক সে কারণেই বিশেষ একটি সুগন্ধি অন্যের দেহে যেভাবে কাজ করে, আপনার দেহে তা সেভাবে করবে না । কাজেই সুগন্ধি কেনার আগে নিজের ত্বকের ওপর পরীক্ষা করুন । অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন ফলাফলের জন্যে । ২০ মিনিটের চেয়ে বেশি সময় না লাগলে এটিই আপনার জন্যে পারফেক্ট সুগন্ধি !<br />
<b><br /></b>
<b>০৩. চুলে সুগন্ধি লাগাবেন না</b><br />
<br />
সুগন্ধি বিশেষজ্ঞ সারাহ হরোউইটযের মতে, “অনেক সুগন্ধি ব্যবহারকারীরাই চুলে সুগন্ধি মাখেন দীর্ঘসময় ধরে সুগন্ধ পাবার জন্য । এটি করবেন না ! কারণ, বাজারের বেশিরভাগ সুগন্ধিতেই অ্যালকোহল থাকে, আর অ্যালকোহল চুলকে শুষ্ক করে তোলে । যদিও চুল আমাদের ত্বকের তুলনায় সুগন্ধি ভাল ধরে রাখতে পারে । কারণ, দৈহিক তাপের কারণে সুগন্ধি আমাদের ত্বকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না । যদি আপনি চুল থেকেও আপনার প্রিয় সুগন্ধির মতো সৌরভ পেতে চান, তাহলে চুলে ভাল করে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করে নিন। এরপর দু’হাতে সুগন্ধি মেখে তালি দিন, যাতে অ্যালকোহলটুকু হাতের তাপে পুড়ে উধাও হয়ে যায় । এরপর চুলের ভেতর আঙ্গুল চালিয়ে দিন !”<br />
<br />
<b>০৪. সুগন্ধি কাপড়ে লাগাবেন না</b><br />
<br />
আমরা সাধারণত জামা-কাপড়ের ওপরেই সুগন্ধি লাগিয়ে নিই । আসলে কিন্তু এতে কোন লাভই নেই ! কারণ, একটু পরই এ গন্ধ মিলিয়ে যায়, তা সে যত বিখ্যাত ব্র্যান্ডেরই হোক না কেন । সুগন্ধি মাখার নিয়ম হল, আপনার চারপাশে স্প্রে করে কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকুন, সুরভি আপনার গায়ে মেখে থাকবে । আর তাছাড়া হাতের কবজি, কানের লতি ও ঘাড়েও একটু স্প্রে করে নিতে পারেন । তাহলে গন্ধটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় ।<br />
<br />
<b>০৫. প্রলেপ দিন</b><br />
<br />
দিনভর সুগন্ধ ধরে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল প্রলেপন । অর্থাৎ, গোসলে সুগন্ধি বডি-ওয়াশ ব্যবহার করুন, বডি-লোশান অথবা বডি-অয়েল দিন সৌরভ আরেকটু বাড়ানোর জন্য ও সেই সাথে আর্দ্রতার জন্য । এরপর আপনার পালস-পয়েন্টগুলোতেও একটু বডি-অয়েল মাখান এবং ফিনিশিং টাচ হিসেবে সুগন্ধি লাগিয়ে নিন । ব্যস, সারাদিনের জন্য আপনি সতেজ, সুরভিত !<br />
<br />
<b>০৬. অতিরিক্ত সুগন্ধি মাখবেন না</b><br />
<br />
অতিরক্ত সুগন্ধি মাখার অভ্যাস থেকে থাকলে তা এখনই পরিত্যাগ করুন । কারণ, আপনার সুগন্ধির ঝাঁঝ অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালে তা আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর ।<br />
<br />
<b>০৭. বদলে নিন</b><br />
<br />
আপনি হয়তো সবসময় একই ধরণের সুগন্ধি ব্যবহার করে অভ্যস্ত অথবা আপনার ড্রেসিং টেবিল হয়তো ভরে আছে নানা ধাঁচের সুগন্ধি দিয়ে । যেটাই হোক, এটা খুবই মজার একটি বিষয় এবং এর মাধ্যমেই প্রতিফলন ঘটছে আপনার ব্যক্তিত্বের, আপনার মুডের । সারাহ হরোউইটয পরামর্শ দিয়েছেন হালকা গন্ধের সুগন্ধিগুলোকে দিনের বেলায় এবং কড়া ও ঝাঁঝালো সুগন্ধি রাতে ব্যবহার করতে । অথবা বদলে নিতে পারেন ঋতু ও আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথেও । কারণ আপনার সুগন্ধি হল আত্ম-প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও স্মরণীয় মাধ্যম । মুড বুঝে সুগন্ধি ব্যবহার করুন এবং ফলাফলটিও উপভোগ করুন !<br />
<br />
আপনার পছন্দের সুগন্ধির ব্র্যান্ড তাহলে কোনটি ? শেয়ার করুন আমাদের সাথে !<br />
<br />
লিখেছেনঃ নুজহাতUnknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-23629849730165418502016-06-26T07:50:00.000+06:002016-06-26T07:53:14.773+06:00মোশাররফ করিমের প্রথম পারিশ্রমিক কি ছিল জানেন?<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhaV3mCAwrdRTVcZ0DSjkcaI3uZ-k8hu99Jd_JjHuHbio_oWBnQwjnz402zdriOaYzzDX4JS5qi7oyES3_1v7uqw_8fq3lQIJVqKBnlHCvtkCYam7A5qONPp5db0HoRQTgHgmmIzw5nl23l/s1600/Mosharraf+Karim.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="426" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhaV3mCAwrdRTVcZ0DSjkcaI3uZ-k8hu99Jd_JjHuHbio_oWBnQwjnz402zdriOaYzzDX4JS5qi7oyES3_1v7uqw_8fq3lQIJVqKBnlHCvtkCYam7A5qONPp5db0HoRQTgHgmmIzw5nl23l/s640/Mosharraf+Karim.jpg" width="640" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><span style="background-color: white; font-family: SolaimanLipi; font-size: 14px; font-style: italic; line-height: 20px; text-align: justify;"><b><span style="color: #6aa84f;">দেশের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী মোশাররফ করিম। ছবি : সংগৃহীত</span></b></span></td></tr>
</tbody></table>
<br />
দেশের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী মোশাররফ করিম যখন প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন তিনি ক্যামেরার কিছুই বুঝতেন না। শুধু বুঝতেন অভিনয়। নিজের সম্পর্কে এভাবেই বলছিলেন মোশাররফ করিম। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছে তাঁর জীবনে প্রথম ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে।<br />
<b><br /></b>
<b>প্রথম স্কুল </b><br />
<br />
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি স্কুলে প্রথম ভর্তি হয়েছিলাম। ঢাকায় এক বছর পড়াশোনা করার পর বরিশালে চলে গিয়েছিলাম। সেখানকার গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। তবে আমি ক্লাস থ্রি পর্যন্ত বাসায় পড়াশোনা করেছিলাম। মানে হলো, স্কুলে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত যেসব বই পড়ানো হয়, সেসব আমি বাসায় পড়েছি। স্কুলে ভর্তি হয়েছি ক্লাস ফোরে।<br />
<br />
<b>প্রথম শিক্ষক</b><br />
<br />
আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন সুলতান স্যার। অনেক রাগী ছিলেন স্যার। স্যারের অনেক মাইর খেয়েছিলাম আমি। স্যার অনেক সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন।<br />
<br />
<b>প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র</b><br />
<br />
তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’।<br />
<br />
<b>প্রথম অভিনীত নাটক</b><br />
<br />
নাটকের নাম ছিল ‘অতিথি’। এটা ১৯৯৯ সালের কথা। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন ফেরদৌস হাসান।<br />
<br />
<b>প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা</b><br />
<br />
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যেভাবে শট দিচ্ছিলাম, সেটা পছন্দ করছিলেন না পরিচালক। আর পরিচালক যেভাবে আমাকে নাটকের দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, সেটা আমার কাছে অতিরিক্ত মনে হয়েছিল তাই আমি অভিনয় সেভাবে করতে চাচ্ছিলাম না। আর আমি নিজেও কিছুটা বিভ্রান্তিতে ছিলাম। প্রথমে ক্যামেরার ক্লোজ, মাস্টার ও জুম শটগুলো আমি বুঝতে পারছিলাম না। পরে নিজেকে বুঝিয়েছিলাম যে ওরা ক্যামেরায় যাই করুক না কেন অভিনয়টা তো আসল। এই চিন্তা করেই সেদিন অভিনয় করেছিলাম।<br />
<br />
<b>প্রথম পারিশ্রমিক</b><br />
<br />
ঈদের সালামি ছিল প্রথম পারিশ্রমিক। আমি বিশ্বাস করি ঈদের সালামিও একধরনের পারিশ্রমিক। ঈদের সালামি কত টাকা পেয়েছি এটা এখন মনে নেই। আর কাজ করে প্রথম কত টাকা পেয়েছিলাম এটা একদম ভুলে গিয়েছি।<br />
<br />
<b>প্রথম পড়া বই</b><br />
<br />
আদর্শলিপির বই প্রথমে পড়েছি। গল্পের বইয়ের মধ্যে ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ পড়েছি। এ ছাড়া ছোটবেলায় অনেক গল্পের বই পড়তাম।<br />
<b><br /></b>
<b>প্রথম প্রেম</b><br />
<br />
প্রেম দ্বিপক্ষীয় ব্যাপার। আবার প্লেটোনিক প্রেমও আছে। প্রেম নিয়ে কথা বলা মুশকিল।<br />
<br />
এনটিভি অনলাইনUnknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-7237725816907041132016-06-24T12:57:00.002+06:002016-06-24T12:57:45.389+06:00তিতির মুরগী-পাখি বা চায়না মুরগি পালন<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjG9F6twcaPvJRIZgIc7eENGCOqbz16DnHYMNtVofiRfNK7qnZRckeTxlxxeXkD_Z5X7bHPFe82atwzmcl9KJ50KVfVQ22u1ITjiI_gTBYTFjySvDuzad_fRJHEF-bPej3mbXV8f55PlCnV/s1600/titir11.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="তিতির মুরগী-পাখি বা চায়না মুরগি পালন" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjG9F6twcaPvJRIZgIc7eENGCOqbz16DnHYMNtVofiRfNK7qnZRckeTxlxxeXkD_Z5X7bHPFe82atwzmcl9KJ50KVfVQ22u1ITjiI_gTBYTFjySvDuzad_fRJHEF-bPej3mbXV8f55PlCnV/s640/titir11.jpg" title="তিতির" width="640" /></a></div>
<br />
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আওতাধীন একটি প্রকল্পের উদ্যোগে বিপন্নপ্রায় তিতির পাখি সংরক্ষণের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। এই তিতির পাখি গ্রামাঞ্চলে চায়না মুরগি নামে পরিচিত এবং দেশি মুরগির মতই লালন-পালন করা যায়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এটি অত্যধিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এছাড়া এর বাজার মূল্য দেশি হাঁস-মুরগির চেয়ে অনেক বেশি। তাই এটি লালন-পালন করা অন্যান্য দেশি মুরগির চেয়ে লাভজনক। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তিতির পাখি পালন দারিদ্র বিমোচনে যেমন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে তেমনি বিপন্নপ্রায় এই প্রজাতিটির সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>তিতির পাখির বৈশিষ্ট্য ও পালনের সুবিধাসমূহ :</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তিতির পাখির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য পাখির তুলনায় বেশী ,</div>
<div style="text-align: justify;">
সংক্রমণ বা পরজীবী সহজে আক্রান্ত করতে পারেনা ,</div>
<div style="text-align: justify;">
আলাদা কোন ভ্যাকসিন বা ঔষধ লাগেনা ,</div>
<div style="text-align: justify;">
একটি পূর্ণ বয়স্ক তিতির দিনে ১১০ – ১২০ গ্রাম খাবার খায় ,</div>
<div style="text-align: justify;">
কচি ঘাস – পোকা মাকড় – সবজি এদের প্রিয় ,</div>
<div style="text-align: justify;">
সম্পূরক খাদ্যের পরিমাণ কম লাগে ,</div>
<div style="text-align: justify;">
এদের জন্য ভালো মানের ঘর লাগে না ,</div>
<div style="text-align: justify;">
ডিমের খোসা অত্যন্ত শক্ত ,</div>
<div style="text-align: justify;">
শারীরিক বৃদ্ধির হার বেশ ভালো এবং মাংস অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ,</div>
<div style="text-align: justify;">
একটি দেশী মুরগী বসরে ৫০ – ৬০ টা ডিম দেয় ,</div>
<div style="text-align: justify;">
সেখানে একটি তিতির পাখি বসরে ১০০ – ১২০ টি ডিম দেয় ,</div>
<div style="text-align: justify;">
প্রতিকূল পরিবেশ এরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে ।</div>
<iframe allowfullscreen="" frameborder="0" height="360" src="https://www.youtube.com/embed/W5KniK75Pmg" width="640"></iframe>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-75668972399736344912016-06-22T05:55:00.000+06:002016-06-22T05:55:00.426+06:00আস্ত ট্রেন টানল ল্যান্ডরোভার। চোখ কচলে নিন!<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEja_tO_NyUDRnM0Y8v-n_C6S07sTRwIOYUlQzAyRF-ah8gzYDL893G8kHcI24k5xcbpouPHsDYnZ2DFxEqs0gV2iYZdJnt2jWKOXkgLQRUDnsjq_p_YtqJ3rX46RNE2-eC8OchhYs5P6rcX/s1600/%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4+%25E0%25A6%259F%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25B2+%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A5%25A4+%25E0%25A6%259A%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%2596+%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A8%2521.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="আস্ত ট্রেন টানল ল্যান্ডরোভার। চোখ কচলে নিন!" border="0" height="426" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEja_tO_NyUDRnM0Y8v-n_C6S07sTRwIOYUlQzAyRF-ah8gzYDL893G8kHcI24k5xcbpouPHsDYnZ2DFxEqs0gV2iYZdJnt2jWKOXkgLQRUDnsjq_p_YtqJ3rX46RNE2-eC8OchhYs5P6rcX/s640/%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4+%25E0%25A6%259F%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25B2+%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A5%25A4+%25E0%25A6%259A%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%2596+%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A8%2521.jpg" title="ট্রেন টানল ল্যান্ডরোভার" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: center;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ল্যান্ড-রোভারের এই মডেলটি ট্রেনকেও টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম। ল্যান্ড-রোভার সংস্থা জানাচ্ছে তাঁদের গাড়ির ওজন মাত্র ২.৫ টন। কিন্তু, এই ল্যান্ড-রোভারকে দিয়ে তার থেকে ৫০ গুণেরও বেশি ভারী ট্রেনের তিনটি কামরা টানানো হয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ট্রেন লাইন ধরে ছুটছে একটি ল্যান্ড-রোভার। আর তার পিছনে কেবল দিয়ে আটকে দেওয়া ট্রেনের কামরায় ল্যান্ড-রোভারের পিছন পিছন চলেছে এই কামরাগুলি। দৃশ্যটি চোখে পড়লে অবাক হয়ে যেতে হয়। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আসলে ল্যান্ড-রোভারের এই মডেলটি ট্রেনকেও টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম। ল্যাড-রোভার সংস্থা জানাচ্ছে তাঁদের গাড়ির ওজন মাত্র ২.৫ টন। কিন্তু, এই ল্যান্ড-রোভারকে দিয়ে তার থেকে ৫০ গুণেরও বেশি ভারী ট্রেনের তিনটি কামরা টানানো হয়। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এমনকী ল্যান্ড রোভারটি ৮৫ ফুট উঁচু ব্রিজ দিয়ে আনায়সে ট্রেনের কামরাগুলি টেনেও নিয়ে যায়। সকলেরই আশঙ্কা ছিল এই বুঝি না গাড়ি ও ট্রেন ট্রেনটা নিচের নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু, তা হয়নি। </div>
<iframe allowfullscreen="" frameborder="0" height="315" src="https://www.youtube.com/embed/oHgcmM9v3rI" width="560"></iframe>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-75367769138238856912016-06-22T05:42:00.002+06:002016-06-22T05:42:47.699+06:00আপনাকে দেখেই কি বাচ্চারা কেঁদে ওঠে? বাজি রইল, কারণ জানলে আপনি কাঁদবেন<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjq7_lRDIwu-iot-rLnvXYmkfa1DJlx5QObNaBUGHGX_nGCc5Vlb_4-aPtUXUcf7aJLG2Y-aZvH-DMIEFXpsugMWeIZn-GHaHPsKkOMFixWlVcdV1xe0B2NKBDINVWwBrNsv0KfO-stOyQx/s1600/%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%2581.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="426" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjq7_lRDIwu-iot-rLnvXYmkfa1DJlx5QObNaBUGHGX_nGCc5Vlb_4-aPtUXUcf7aJLG2Y-aZvH-DMIEFXpsugMWeIZn-GHaHPsKkOMFixWlVcdV1xe0B2NKBDINVWwBrNsv0KfO-stOyQx/s640/%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%2581.jpg" width="640" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><h2>
<span style="color: #6aa84f;">কেন অনেককে দেখে শিশুদের চেহারা এ রকম হয়ে যায়।</span></h2>
</td></tr>
</tbody></table>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অনেকে আছেন, যাঁদের দেখে একেবারে ছোট বাচ্চারা কেঁদে ওঠে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, দূর থেকে একবার নজরে পড়লেই হয়তো আপনাকে দেখে ‘‘ভ্যাঁ’’।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কেন আপনাকে দেখে একটি শিশু এভাবে কেঁদে উঠবে? ভেবে দেখেছেন, আপনার মধ্যে এমন কী রয়েছে, যা দেখে একরত্তি শিশু ঘাবড়ে যাবে? </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উত্তর শুনলে আপনারও মনে হবে হাত-পা ছুড়ে কাঁদতে। আপনি তো শিশুটির দিকে তাকিয়ে হাসছেন, গাইছেন, তাকে কোলে নিতে চাইছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কিন্তু শিশুটি? কাঁদতে-কাঁদতে পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছে না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সম্প্রতি ‘‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’’ পত্রিকায় একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একটি শিশু যখন কোনও কারণ ছা়ড়াই কাউকে দেখে কাঁদতে শুরু করে, তখন বুঝে নিতে হবে যে, গোলমালটা শিশুর নয়, দ্বিতীয়জনের। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কী সেই গোলমাল? শিশুটি মনে করে, আপনি কুৎসিত, কদাকার দেখতে। সে আপনাকে পছন্দ করছে না।</div>
<div style="text-align: justify;">
এর পরেও আর কিছু বলবেন? না, কাঁদবেন?</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-57883405922304999332016-06-03T05:37:00.002+06:002016-06-03T05:37:37.790+06:00কারো গায়ে পা লাগলে সালামের বিধান কি?<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEju-GdJdV9zKhiMMaE4VkvwFZFiEAdjAzZSHGiZ_g_RhC63rjEJMUTKaeVu_lG-EBwIgz2lpOjhDVCGUZIHV8nzqeUCt8AkJBES_H107Da-7YYXf06Y-PsB87LjhNMymb6ybueVa3H5MiMS/s1600/%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B+%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="কারো গায়ে পা লাগলে সালামের বিধান কি?" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEju-GdJdV9zKhiMMaE4VkvwFZFiEAdjAzZSHGiZ_g_RhC63rjEJMUTKaeVu_lG-EBwIgz2lpOjhDVCGUZIHV8nzqeUCt8AkJBES_H107Da-7YYXf06Y-PsB87LjhNMymb6ybueVa3H5MiMS/s640/%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B+%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8.jpg" title="কারো গায়ে পা লাগলে" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বই হাত থেকে পড়ে গেলে আমরা সালাম করি। কখনও বইয়ের চুমু এঁকে দিই। সালাম করি কলমে। কারো শরীরে পা লাগলেও তার গা ছঁয়ে চুমু খাই। সালামও করি। মুখে চুমুর আরওয়াজ আর কপালে ভক্তির রেখা ভেসে ওঠে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কোরআন-কিতাবতো বটেই সাধারন বই-খাতার প্রতিও আমরা এই সম্মান প্রদর্শন করি। এই দৃশ্য আমাদের চেনাজানা। বারবার চোখে পড়ে। মনের কোণে প্রশ্নও জাগে বিষয়টা আসলে কি? ধর্মীয় ভাবে কাজটার গুরুত্ব কি? কোরআন সুন্নাহ মতে কাজগুলোর সরাসরি নির্দেশ বা মানা নেই; তবে দৃশ্যগুলো আমাদের কাছে মর্যাদার প্রতীক। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ভক্তি ও ভালোবাসার প্রতীক। সালাম-চুমুর দৃশ্যের সময় যে অবস্থার অবতরন হয় তা সুন্দর ও নান্দনিক। বই-কিতাবের প্রতি সালাম, কারো শরীরে পা লেগে গেছে এমন অমার্যাদা থেকে বাঁচার তাগিদে গা ছুঁয়ে সালামের সংস্কৃতি বিবেকের সুস্থতা ও বিনয়ের প্রকাশ। অবশ্য কেউ কাজগুলো বিনয়ের মানসিকতা নিয়ে করলে সওয়াব পাবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বিনয় ও সরলতার জন্য কোরআন বলছে, যারা পৃথিবীতে বিনয়ের সঙ্গে চলাফেরা করে তারাই আল্লাহ তায়ালার প্রকৃত বান্দা। সুরা ফোরকান : ৬৩</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মহানবী সা. বলেছেন, যদি কেউ আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য বিনয় অবলম্বন করে তবে আল্লাহ তার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কোরআন শরিফে চুমু খাওয়ার বিধান সরাসরি বর্ণিত না থাকলেও অনেক সাহাবা কাজটি করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত ওমর রা. এর ব্যাপারে বর্ণিত। তিনি কোরআনুল কারিমে প্রতিদিন সকালে চুমু খেতেন। আর বলতেন-এটা আমার রবের নির্দেশনা, এবং আল্লাহর প্রেরিত। এমনিভাবে হযরত উসমানও রা. কুরআনে কারিমকে চুমু খেতেন এবং চোখে বুলাতেন। রাদ্দুল মুহতার-৫/২৪৬, তাহতাবি আলা মারাকিল ফালাহ-২৫৯, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৭/১৪৭ সাহাবি হজরত ইকরিমা রা. থেকে কোরআনের প্রতি ভক্তি দেখাদে চুমু খাওয়ার কথা আছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তার মানে বিনয়ের সঙ্গে কোরআনুল কারিমে চুমু খাওয়া আত্মার প্রশান্তি এবং নেক কাজ। একই কাগজে লেখা হয় বই-কিতাব। সেগুলোর প্রতি মর্যাদার উপলদ্ধি নিসন্দেহে ভালো কাজ। কারও গায়ে পা লাগা যদিও অসর্তকভাবে হয়ে যায়; তবে বিনয় প্রকাশের জন্য সালাম করা, চুমু খাওয়া যেতে পারে। ভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের মাঝে হলেও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান পূণ্যের কাজ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
পুনশ্চ : বইয়ে চুমু-ভক্তি বা কারো শরীরে পা লাগলে সালামের দৃশ্য যেন সিজদার রূপ ধারন না করে। মাথানত করে না হয়। সিজদা বা মাথানত শুধু আল্লাহর জন্য হবে।</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-73422573052950731432016-06-03T04:36:00.000+06:002016-06-03T04:36:06.165+06:00অসতর্কতাবশত হাত থেকে কোরআন পড়ে গেলে করণীয় কী?<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEghAsoRtj1VBkQGYOuCaU_WJgSAJZEebeYrq67krD2lx2iNY-yUG6X81H1b5nFXQp_-vnw6xDPUrbbWF0oAPdEPcRiLiDdUe6VsXmNx4zTCNIiDw3I97DV-Md1ePBRlzmWqiXZMrnMngfB3/s1600/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4+%25E0%25A6%25A5%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="অসতর্কতাবশত হাত থেকে কোরআন পড়ে গেলে করণীয় কী?" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEghAsoRtj1VBkQGYOuCaU_WJgSAJZEebeYrq67krD2lx2iNY-yUG6X81H1b5nFXQp_-vnw6xDPUrbbWF0oAPdEPcRiLiDdUe6VsXmNx4zTCNIiDw3I97DV-Md1ePBRlzmWqiXZMrnMngfB3/s640/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4+%25E0%25A6%25A5%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587.jpg" title="হাত থেকে কোরআন পড়ে গেলে" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উক্ত অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে ‘ইন্নালিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন’ পড়া যায় (বাক্বারাহ ১৫৬)। সেই সাথে সতর্ক থাকতে হবে যেন এমনটি পুণরায় আর না ঘটে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উল্লেখ্য যে, পড়ে গেলে তুলে চুমো দেওয়া বা চাল বিতরণ করা ভিত্তিহীন প্রথা মাত্র।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অসতর্কতাবশত হাত থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ পড়ে গেলে এর জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তওবা ইস্তিগফার করতে হবে। পবিত্র কোরআন ওজন করে সমপরিমাণ চাল বা কিছু দান করতে হবে- এমন কথা মোটেই সঠিক নয়। এমন কোনো বাধ্যবাধকতা মোটেও নেই। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
(আগলাতুল আওয়াম, ইসলামী নেসাব-৪৮৫-৮৬)।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উক্ত অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে ‘ইন্নালিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন’ পড়া যায় (বাক্বারাহ ১৫৬)। সেই সাথে সতর্ক থাকতে হবে যেন এমনটি পুণরায় আর না ঘটে। উল্লেখ্য যে, পড়ে গেলে তুলে চুমো দেওয়া বা চাল বিতরণ করা ভিত্তিহীন প্রথা মাত্র।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
প্রিয়.কম</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-3965217148885638552016-06-02T15:48:00.000+06:002016-06-02T15:48:53.375+06:00রাসুল [সা.] যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHdBg7SEDUU7DUpu-ZBmCyP02HSBGzqK3_PzloJBT2_yZEnwdsV3DYEJpDJ-6UxjzROntYXRXpu98J7PpfMILpDrPKnUZQLltSfai4pZ9Shl6Lgjx5A10TRzHiPAJBo4orUI63YpTSSOuu/s1600/ramadan+in+filistin-+%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="রাসুল [সা.] যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHdBg7SEDUU7DUpu-ZBmCyP02HSBGzqK3_PzloJBT2_yZEnwdsV3DYEJpDJ-6UxjzROntYXRXpu98J7PpfMILpDrPKnUZQLltSfai4pZ9Shl6Lgjx5A10TRzHiPAJBo4orUI63YpTSSOuu/s640/ramadan+in+filistin-+%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587.jpg" title="রমজান" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নবীজী (সা.) রমজান মাসের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতেন এবং রজব মাসের চাঁদ দেখে মাহে রমজান প্রাপ্তির আশায় বিভোর থাকতেন। শাবান মাসকে রমজান মাসের প্রস্তুতি ও সোপান মনে করে তিনি বিশেষ দোয়া করতেন এবং অন্যদের তা শিক্ষা দিতেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>রাসুল [সা.] যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন</b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
প্রতিবছর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আসে ইবাদতের মাস রমজানুল মোবারক। এ গুরুত্ববহ তাৎপর্যময় মাসের আগমন সারা বিশ্বের মুসলমানদের সুদীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মুসলমানদের জীবনে সারা বছরের মধ্যে রমজান মাসে আল্লাহর অসীম দয়া, ক্ষমা ও পাপমুক্তির এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয় বলেই এ পুণ্যময় মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা এত বেশি। তাই বলা হয়, রমজান মাস হচ্ছে ইবাদত, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকর, শোকর তথা আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক বিশেষ মৌসুম।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নবীজী (সা.) রমজান মাসের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতেন এবং রজব মাসের চাঁদ দেখে মাহে রমজান প্রাপ্তির আশায় বিভোর থাকতেন। শাবান মাসকে রমজান মাসের প্রস্তুতি ও সোপান মনে করে তিনি বিশেষ দোয়া করতেন এবং অন্যদের তা শিক্ষা দিতেন। সাহাবায়ে কিরাম শাবান মাসে আসন্ন রমজান মাসকে নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত করার পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। যখন শাবান মাসে উপনীত হতেন, তখন মাহে রমজানকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে আবেগভরে আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা রাসুলুল্লাহ (সা.) করতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসের বিশেষ বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’</div>
<div style="text-align: justify;">
(মুসনাদে আহমাদ)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রাসুলুল্লাহ (সা.) একদা শাবান মাসের শেষ দিনে সাহাবায়ে কিরামকে লক্ষ করে মাহে রমজানের রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলেন, ‘তোমাদের প্রতি একটি মহান মোবারক মাস ছায়া ফেলেছে। এ মাসে সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম একটি রজনি আছে। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো নেক আমল দ্বারা আল্লাহর সান্নিধ্য কামনা করে, সে যেন অন্য সময়ে কোনো ফরজ আদায় করার মতো কাজ করল। আর এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো ফরজ আদায় করে, সে যেন অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ আদায়ের নেকি লাভ করার সমতুল্য কাজ করল। এটি সংযমের মাস আর সংযমের ফল হচ্ছে জান্নাত।’ (মিশকাত)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র রমজান মাস ভালোভাবে যাপন করবে, তার সারা বছর ভালোভাবে যাপিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন রমজান মাসের প্রথম রজনি আগমন করে, তখন একজন আহবানকারী আহবান করেন, ‘হে কল্যাণকামী, এগিয়ে যাও! হে মন্দান্বেষী, স্তব্ধ হও!’ (তিরমিজি) সুতরাং পবিত্র এ মাসে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি তথা সেহেরি, ইফতার, তারাবি, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, ইতিকাফ, তাহাজ্জুদ, জিকর-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-ইস্তেগফারের পাশাপাশি জাকাত-ফিতরা, দান-সাদকা প্রভৃতি আদায় করা।</div>
<div style="text-align: justify;">
ফয়জুল আল আমীন</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
[ফয়জুল আল আমীন- ধ্রুপদী এক লেখক। পুরো নাম- সৈয়দ মুহম্মদ ফয়জুল আল আমীন। প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, সাহিত্য সমালোচনা, গল্প, গবেষণা, কবিতা, ছড়াসহ সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় যার সুদীপ্ত বিচরণ। দেশের প্রথম শ্রেণির প্রায় সব দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ছোটকাগজে নিয়মিত লিখছেন প্রায় ২০ বছর ধরে। ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে তাঁর গুরু হলেন বাবা। আর সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে প্রকৃতি। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ইসলাম ধর্মের নানা দিক ও বিষয় নিয়ে সুদীর্ঘ গবেষণা করেছেন ফয়জুল আল আমীন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় রিপোর্টার, ফিচার লেখক, সাব-এডিটর, সহযোগী সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। একাধিক প্রকাশনা সংস্থায় সিনিয়র লেখক, সম্পাদক ও আরঅ্যা-ডি’র প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে পাঠকপ্রিয় একটি সাপ্তাহিকে চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।]</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-14132991756528264062016-06-02T09:58:00.001+06:002016-06-02T09:58:18.764+06:00নারীদের সুগন্ধি ব্যাবহার সম্পর্কে যে ভয়ঙ্কর কথা বলেছে ইসলাম!<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhaMdgJwRuZnjXJmYmAPx9Zzh_0Cx2Z1F-V84LeTHIby8MHhd4gYrDfXZMuY_FbzBX90OKrcBSRFUUjWhFvdbiPrRINHnGdeJmLVn0r1NeG7CSpwFFJmiU18EohGz299vkCbjqKqWvW-r48/s1600/%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25BF+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="নারীদের সুগন্ধি ব্যাবহার সম্পর্কে যে ভয়ঙ্কর কথা বলেছে ইসলাম!" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhaMdgJwRuZnjXJmYmAPx9Zzh_0Cx2Z1F-V84LeTHIby8MHhd4gYrDfXZMuY_FbzBX90OKrcBSRFUUjWhFvdbiPrRINHnGdeJmLVn0r1NeG7CSpwFFJmiU18EohGz299vkCbjqKqWvW-r48/s640/%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25BF+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0.png" title="নারীদের সুগন্ধি ব্যাবহার" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অনেক মহিলা বাইরে বের হওয়ার সময় পর্দা করে বের হয় বটে, কিন্তু পারফিউম বা অন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে। মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা নাজায়েয। এতে পর্দা লঙ্গন হয়। শরীয়ত অনুযায়ী পর্দা আদায় হয় না। হাদিস শরিফে ওই সব মহিলার উপর অভিসম্পাত করা হয়েছে যারা সুগন্ধি মেখে বের হয়। পর্দার সাথে হলেও মহিলা পারফিউম বা সেন্ট জাতীয় কোন সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে যেতে পারে না। কারণ তাতে ফিতনা আছে। মহানবি (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক চক্ষুই ব্যাভিচারী। আর মহিলা যদি</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
(কোন প্রকার) সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তবে সে ব্যভিচারিণী (খারাপ মেয়ে)।” (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, ইবনে খুযাইমাহ, হাকেম, সহীহুল জামে, ৪৫৪০ নং)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এমন কি মসজিদে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে যেতেও সে সেন্ট ব্যবহার করতে পারে না। মহানবি (সা.) বলেন, “আল্লাহর বান্দীদেরকে মসজিদে আসতে বারণ করো না, তবে তারা যেন খোশবু ব্যবহার না করে সাধাসিধাভাবে আসে।” (আহমাদ, আবূ দাঊদ, সঃ জামে ৭৪৫৭ নং)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে যাবে, সে মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামায কবুল হবে না।” (ইবনে মাজাহ ৪০০২)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এক্ষেত্রে কোনো মেয়ের শরীর থেকে যদি কোনো দূর্গন্ধ প্রকাশিত হওয়ার সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে সুগন্ধি ব্যবহার ছাড়া নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন। প্রয়োজনে প্রতি ঘণ্টা অন্তর অন্তর নিজেকে পরিস্কার করে নিতে পারেন। সমস্যা খানিকটা জটিল হলে তিনি একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো বৈধ কিছু ব্যবহার করতে পারেন।-প্রিয়.কম</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-36264359072430172752016-06-02T09:54:00.000+06:002016-06-02T09:54:20.600+06:00যেসব কারণে ভালো বাবা-মায়ের সন্তানেরা নষ্ট বা খারাপ হয়!<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjh3DCIVYcCz3Ozgo1ouURxShKbubHhRdiQheo8ujFWNrXqotsLpON-nuGJolPocOAuasnjNT_Y3KL4lwHy0CHcGGZBkIRQ3cABpKfgHyUCLH3iEDPlBZqYZQ7hCl0I_XXqUbgHQwGebQ1O/s1600/%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjh3DCIVYcCz3Ozgo1ouURxShKbubHhRdiQheo8ujFWNrXqotsLpON-nuGJolPocOAuasnjNT_Y3KL4lwHy0CHcGGZBkIRQ3cABpKfgHyUCLH3iEDPlBZqYZQ7hCl0I_XXqUbgHQwGebQ1O/s640/%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE.jpg" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ইসমাঈল সাহেব যদিও আলেম ছিলেন না, কিন্তু অত্যন্ত ধর্মভীরু, তাহাজ্জুদগোজারী লোক ছিলেন এবং নিয়মিত জামাতে প্রথম তাকবিরের সঙ্গে নামাজ আদায়ে সচেষ্ট ছিলেন। তার সর্বমোট ছয়টি সন্তান ছিলো। ইন্তেকালের পূর্বে তিনি যে পরিমাণে কষ্টকর অস্থিরতা ও যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন, তা ছিলো কেবল সন্তানদের জন্যে প্রচ- দুশ্চিন্তা। তার তিনটি সন্তানের বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু ছেলেরা ছিলো এখনো অবিবাহিত। এদের মধ্যে দুটি ছোটো ছেলে তাদের জন্যে দুর্নামের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। তারা উল্টাসিধা ও ভবঘুরের মতো হয়ে গিয়েছিলো এবং পুরো মহল্লা ও এলাকার অধিবাসীরা তার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলো। দ্বিতীয় ছেলেটি সীমাহীন দুর্নামের অধিকারী হয়ে গিয়েছিলো।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এই সন্তানদের বাবা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন— হে আল্লাহ, আমার মনে পড়ছে না, আমি জীবনে এমন কী পাপ করেছি, যার কারণে আমাকে আজ এমন দুর্দিন দেখতে হচ্ছে। তার সমবয়সীরাও বলছিলো যে, তিনি ছেলেবেলা থেকেই সজ্জন ও ভালো মানুষ ছিলেন। সবসময় হারাম-হালাল বাছবিচার করে চলতেন। কখনো মাদক, ব্যভিচার ও জুয়াবাজির ধারেকাছেও ভেড়েন নি। একদিকে এমনই ছিলো তার ইতিবাচক অবস্থা, আর অন্যদিকে তার সন্তানদের নেতিবাচক পরিস্থিতি। এই কঠিন প্যাঁচের গেড়ো খুলছিলো না। কয়েকজন ব্যক্তি তার ব্যাপারে গভীর পর্যবেক্ষণ করলেন। এ ক্ষেত্রে সমকালীন এক বুজুর্গ সাহায্যে এগিয়ে এলেন এবং বিষয়টি শীঘ্রই বোঝা গেলো। তার বুজুর্গ সঙ্গীর বক্তব্য ছিলো— যৌবনকালে মসজিদে যাওয়ার সময় যখন দুষ্ট ছেলেরা তার সামনে পড়তো, তাদের তিনি ধিক্কার দিতেন যে, তোদের কোন বদমাশ বাবা জন্ম দিয়েছে রে? তোদের বাবা কি হারাম রোজগার করে আর সেগুলো তোদের খাওয়ায়, যার কারণে তোদের এই দুরবস্থা হয়েছে?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
স্বজনদের কারও কোনো নেতিবাচক, অপছন্দনীয় ও অবিশাসযোগ্য কথা যদি কানে আসতো, তবে তিনি সবার সামনে মন্তব্য করতেন যে, ইতরদের সন্তান ইতরই হয়ে থাকে। এই ছেলেদের বাবাও যুবক থাকতে এমন কোনো কাজ করে থাকবে। এ জন্যেই তার ছেলেদের এই অবস্থা হয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মোটা কথা, কাউকে ধিক্কার দেয়া এবং কারও পাপের কারণে তাকে লজ্জা দেয়ার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার ছিলো। এই কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সা.-এর হাদিস মনে এসে গেলো— কোনো ব্যক্তি কাউকে যদি তার পাপের কারণে লজ্জা দেয়, তবে মৃত্যুর পূর্বে নিজেই সেই পাপে সে জড়িয়ে পড়বে। নবি করিম সা. বলেছেন— কারও বিপদে খুশি হলে আল্লাহ তায়ালা তার দোষ গোপন রাখবেন না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমাদের এই কথাটি বেশ ভালো করে বুঝে নেয়া উচিত যে, সন্তানদের এই মন্দ পরিণতি যুবক বয়সে তার মন্দভাষণ ও অন্যদের ধিক্কার দেয়ার ফল হতে পারে। তার সেই বুজুর্গ বন্ধু এটাও বলেন— নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত কঠোর আচরণ করতেন। তাদের কোনো অযাচিত কাজ তিনি কিছুতেই সহ্য করতেন না। ধমকাতেন, মারতেন এবং ক্ষুদ্ধ হয়ে কখনো সখনো তাদের ইবলিস, শয়তান, অভিশপ্ত ও প্রত্যাখ্যাত ইত্যাদিও বলতেন। হতে পারে, তা তক্ষুণি খোদার কাছে মঞ্জুর হয়ে গেছে। এ জন্যেই হয়তোবা আল্লাহ তায়ালা তার সন্তানদের শয়তানের বৈশিষ্ট্যধারী বানিয়ে দিয়েছেন। কেননা, সন্তানদের ব্যাপারে মা-বাবার দোয়া যেভাবে দ্রুত কবুল হয়, একইভাবে বাবা-মার বদ দোয়াও সন্তানদের বেলায় দ্রুত কার্যকর হয়ে দেখা দেয়। তাই কখনো মনের ভুলেও, রাগে ও উত্তেজিত হয়েও নিজের সন্তানদের ধমকানোর ক্ষেত্রে গলদ নামে ডাকা উচিত নয়। এমনও হতে পারে সেটাই কবুল হওয়ার সময় এবং তার প্রভাব প্রকাশ পেয়ে গেলো।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তিনি যদি তার সন্তানদের ক্ষেত্রে দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর নির্দেশিত নীতিমালা পালন ও দোয়া-প্রার্থনার মাধ্যমে নিজের সন্তানদের প্রতিপালন করতেন এবং অন্য কারও সন্তানকে খারাপ না বলতেন, সম্ভবত তাহলে এমন দুর্দিন তাকে দেখতে হতো না। আল্লাহর কাচে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত— হে আল্লাহ, আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন, যারা আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা বয়ে আনে এবং আমাদের খোদাভীরুদের নেতা বানান।-প্রিয়.কম</div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-13676900189210627922016-05-25T08:09:00.000+06:002016-05-25T08:09:22.565+06:00প্রয়োজনে অন্য ধর্ম পরিচয় দেয়া: ইসলাম কী বলে<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhntqw5FnNfCilfz1YRsRpm_Y6huWWNfwGFU1oAedqqVt88z845ST7RHSc2r_X3fd7XwdXWGAF1UiF94lK-74AUEgaXeyoM6nP_nDoSgLGZHxYQWLHiGTABqHKmDzwoWkADRNiVsiMkDDzl/s1600/%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="প্রয়োজনে অন্য ধর্ম পরিচয় দেয়া: ইসলাম কী বলে" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhntqw5FnNfCilfz1YRsRpm_Y6huWWNfwGFU1oAedqqVt88z845ST7RHSc2r_X3fd7XwdXWGAF1UiF94lK-74AUEgaXeyoM6nP_nDoSgLGZHxYQWLHiGTABqHKmDzwoWkADRNiVsiMkDDzl/s640/%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE.png" title="অন্য ধর্ম পরিচয় দেয়া" width="640" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: </b></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>প্রশ্ন: </b></div>
<div style="text-align: justify;">
গুলশানে হিন্দুদের পরিচালিত একটি ফ্যাক্টরি আছে। সেখানে তারা শুধু হিন্দুদেরকেই চাকুরি দেয়। একজন মুসলমান সেখানে চাকরি নেওয়ার জন্য নিজেকে হিন্দু বলে প্রকাশ করেছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নিজের ও পিতার হিন্দু নাম রেখেছে। ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়েছে এবং সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, আমি মুসলমান না, হিন্দু।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
জানতে চাই, এর কারণে তার ঈমানের ক্ষতি হয়েছে কি না? এভাবে বলা কতটুকু অপরাধ হয়েছে?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>উত্তর: </b></div>
<div style="text-align: justify;">
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ‘আমি মুসলমান নই, হিন্দু’ এভাবে বলা এবং হিন্দু হিসেবে পরিচয় দেওয়া কুফরী কাজ হয়েছে। এভাবে বলার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। তাই লোকটির জন্য তওবা করে পুনরায় কালিমা শাহাদত পড়ে ঈমান আনা জরুরি এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চাকরি নেওয়া জরুরি, যেখানে নিজের ঈমান-আকীদা সংরক্ষণের স্বাধীনতা রয়েছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<b>-(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২৭৯; আলবাহরুর রায়েক ৫/১২৩; জামিউল ফুসুলাইন ২/৩০১; ফাতাওয়া উসমানী)</b></div>
Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9146891572281515249.post-41877951833164895562016-05-24T05:35:00.000+06:002016-05-24T05:35:12.670+06:00শ্বশুর শাশুড়িকে বাবা-মা বলা কি বৈধ?<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3ggQO4btGwqCcOx9aQoZfBUTwFrwH65k2-rs_u8iWDsX4ibo2KXZ_-Yu8t4-Lrvqet5ZDhkimCU1Q0D2WDncxQdZPrjBz-1mswWNd-x8QgCAm_2lR5VbUrW8wvpxYTHZLk5SkPf8G1H1Q/s1600/%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BC%25E0%25A6%25BF.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="শ্বশুর শাশুড়িকে বাবা-মা বলা কি বৈধ?" border="0" height="350" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3ggQO4btGwqCcOx9aQoZfBUTwFrwH65k2-rs_u8iWDsX4ibo2KXZ_-Yu8t4-Lrvqet5ZDhkimCU1Q0D2WDncxQdZPrjBz-1mswWNd-x8QgCAm_2lR5VbUrW8wvpxYTHZLk5SkPf8G1H1Q/s640/%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BC%25E0%25A6%25BF.png" title="শ্বশুর শাশুড়িকে বাবা-মা বলা" width="640" /></a></div>
<br />
<br />
<div style="text-align: justify;">
প্রশ্ন: </div>
<div style="text-align: justify;">
হাদিসে আছে নিজের বাবা-মা ছাড়া অন্য কাউকে বাবা-মা ডাকা বা পরিচয় দেয়া যাবে না। তাহলে শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা বলা যাবে কি? যদি বলা যায় তাহলে ওই হাদিসের ব্যাখ্যা কী হবে, যে হাদিসে অন্যকে বাবা-মা বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করা হয়েছে?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উত্তর: </div>
<div style="text-align: justify;">
হাদিসে যে অন্যকে বাবা বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করা হয়েছে এর অর্থ বংশপরিচয় প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আসল পরিচয় গোপন রেখে নিজের পিতার নাম উল্লেখ না করে, অন্যের নাম প্রকাশ করা। যেমন-আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন অথবা এমন কোনো দলিল বা স্থান যেখানে কোনো ব্যক্তির জন্মদাতা পিতার নাম প্রকাশ করা জরুরি হয়। আর স্বামী বা স্ত্রীর পিতা-মাতাকে সম্মানার্থে মা বাবা বলে সম্বোধন করার দ্বারা বংশপরিচয় গোপন হয় না। তাই শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা বলা হাদিসের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয় এবং তা জায়েয।-(আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৫৪; সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৭৬৬; ৬৭৬৮, ৪৩২৬, ৪৩২৭,৩৫০৮; ফাতহুল মুলহিম ১/২৩৬; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৯/৪৯-৫২; মুসনাদে আহমদ ১/১৭৪, ৩/৮৯; ফয়যুল কাদীর ৬/৪৬; কেফায়াতুল মুফতী ৯/১১৮)</div>
Unknownnoreply@blogger.com