কুরআন হাদিসে চাঁদ দিখন্ডিত হওয়ার প্রমাণ

কুরআন হাদিসে চাঁদ দিখন্ডিত হওয়ার প্রমাণ


নবী কারীম সা. এর ইশারায় চাঁদ দিখন্ডিত হয়। মক্কার কাফেররা হুজুর সা. এর নবুওয়াতকে অস্বীকার করে। তারা তাঁর কাছে নবুওয়াতের নিদর্শন চায়। তখন নবী সা. এর হাতের ইশারায় চাঁদ দু’ টুকরো হয়ে যায়।

এ বিষয়টি কুরআনুল কারীমেও উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে, কেয়ামত আসন্ন এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোনো নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত যাদু। (সুরা কমর : ১-৩) চাঁদ দ্বিখ-িত হওয়ার বিষয়টি সহীহ হাদীসেও রয়েছে। আল্লামা ইবনে কাসীর রাহ. এ সম্পর্কিত হাদীসকে মুতাওয়াতির বলেছেন। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/২৭৬) নিম্নে কয়েকটি হাদীস উদ্ধৃত করা হল।

০১) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, আমরা মিনায় রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। 

হঠাৎ চন্দ্র দ্বিখ-িত হল এবং এক খন্ড পাহাড়ের পশ্চাতে চলে গেল ও এক খ- পাহাড়ের উপরে রইল। তখন রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা সাক্ষী থেকো। (সহীহ বুখারী ১/৫৪৬; সহীহ মুসলিম ২/৩৭৩)

০২) হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. বর্ণনা করেন, মক্কাবাসীরা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোনো নিদর্শন দেখতে চাইল। তখন আল্লাহ তাআলা চন্দ্রকে দ্বিখ-িত করে দেখিয়ে দিলেন। তারা দেখতে পেল যে, চাঁদের দুই খ- হেরা পাহাড়ের দুই পার্শ্বে চলে গিয়েছে।

সূত্র : সহীহ বুখারী ১/৫৪৫; সহীহ মুসলিম ২/৩৭৩; জামে তিরমিযী ৩২৮৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১৬৫; দালাইলুন নুবুওয়াহ ২/২৬২-২৬৮; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩/৩৫৪, ৩৬১; ফাতহুল বারী ৭/২২১; আততাহরীর ওয়াত তানবীর ২৭/১৬৩; আদ্দুররুল মানসুর ৬/১৩২-১৩৪; তাফসীরে কুরতুবী ১৭/১২৫-১২৮; তাফসীরে মাযহারী ৯/১৩৫)

বিজ্ঞাপন

Seo Services